চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মো. মাহবুবুর রহমান এবার কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের হামলায় আহত হওয়া তার রক্তমাখা ছবি তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং আন্দোলনের শক্তি যোগ করেছিল।

মাহবুব কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন।

গত বছর কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের সময়, ১৫ জুলাই, কেন্দ্রীয় সমন্বয়কসহ কয়েকজনকে অপহরণ করে ছাত্রলীগ। তাদের উদ্ধারের জন্য শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পৌঁছালে হামলার শিকার হন মাহবুব। তখন তিনি নারী শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন।

মাহবুব জানিয়েছেন, আক্রমণের সময় তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন এবং মাথা থেকে প্রচুর রক্ত ঝরছিল। সেই পরিস্থিতিতেও তিনি সাহস দেখিয়ে অবস্থান করেছিলেন। আহত হওয়ার পর প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে, পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পান।

তার কপালে পাঁচটি সেলাই পড়েছিল। চিকিৎসকের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি আন্দোলনে অংশ নিতে রাস্তায় নেমে আসেন।

অভ্যুত্থানের পর পড়াশোনায় ফিরে গেছেন মাহবুব, এবার শিক্ষার্থীদের সেবায় কেন্দ্রীয় পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমার নির্বাচনে দাঁড়ানোর ইচ্ছা ছিল না। তবে কয়েক সপ্তাহ আগে বিভিন্ন জায়গা থেকে আমার কাছে প্রস্তাব আসা শুরু হয়।

তিনি বলেন, আমি সবার জন্য ওপেন ছিলাম। আমার শিবিরের প্যানেলে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে, আমি আহত হওয়ার পর থেকে তারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের যে ওয়েলফেয়ার পলিটিক্স, এটা আমার ভালো লাগে। আমাকে সহযোগিতা ছাড়াও ৫ আগস্টের পরে তারা শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার্থীবান্ধব বেশ কিছু কাজ করেছে। এগুলো আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।

বর্তমানের শিবিরের বিরুদ্ধে আগের অভিযোগগুলো এখন পর্যন্ত পাইনি। আমি অতীতে ছিলাম না, বর্তমানটা দেখছি যতটুকু আমার সুযোগ হয়েছে। এসবের ভিত্তিতে গিয়েছি, কেউ যদি আমাকে ট্যাগ দেয়, দিক। আমি মেনে নিয়েই এসেছি।