বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) রুপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের ৭১ তম প্রয়াণতিথি উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানের স্লোগান ছিলো "প্রেমে-অপ্রেমে, দারিদ্র্যে ও দাম্পত্যে জীবনানন্দ"।
বুধবার(২২সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনানন্দ দাশ কনফারেন্স হলে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিকাল ৩টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনানন্দ দাশ রিসার্চ সেন্টার কতৃক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম, বিশেষ ভিডিও বার্তায় ছিলেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকও লেখক ড. ক্লিনটন বি সিলি, বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন জীবনানন্দ গবেষক প্রফেসর গৌতম মিত্র।
গৌতম মিত্র তার বক্তব্যে বলেন, "জীবনানন্দ দাশ তারা সারা জীবনটা পার করেছেন কাব্য সাধনায়। তিনি লেখালেখি করা ছাড়া তেমন কোনো কাজে আনন্দ পেতেন না। তাকে যদি কবিতা লেখা থেকে বাধাগ্রস্ত করা হতো তাহলে তিনি অখুশি হতেন। সাংসারিক জীবনে তার অশান্তি থেকেই বোধহয় এমন একজন মহান কবি হয়ে উঠতে পেরেছেন তিনি। জীবনানন্দ দাশের আত্মহত্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, জীবনানন্দ দাশ আত্মাহত্যা করতে পারেন না। আত্মাহত্যা করলে তিনি শেষ জীবনে এসে এত সুন্দর কবিতা লিখতে পারতেন না। তিনি আরো বলেন, বরিশাল হলো আমার কাছে তীর্থক্ষেত্র , বিশ্বাস করুন আমি প্রথম যখন বরিশাল প্রবেশ করি তখন আমি মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে প্রবেশ করি। জীবনানন্দ দাশ মানে যেটা তিনি ভাববেন সেটাই ঠিক। তার কবিতার ভার ছিলো বিশাল , কবিতার যে গঠন এতো শক্তপোক্ত , এটা শব্দ পরিবর্তন করলে পুরো লাইনের অর্থ পরিবর্তন হয়ে যাবে।"
ভিডিও বার্তায় ড. ক্লিনটন বি সিলি বলেন," আমি বাংলাদেশের নাগরিক না হলেও আমি কোনো না কোনে ভাবে বাঙালি , বরিশালের সাথে আমার যোগাযোগ রয়ে গেছে , আমি বরিশালের নাগরিক হয়েগেছি। জানিনা কোনো দিন আবার বরিশালে যাওয়া হবে কি। আমি জেনে আনন্দিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবনানন্দ দাশের নামে একটা একটা রির্সাচ সেন্টার রয়েছে।"
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রবন্ধ উপস্থাপক ফারুক মঈনউদ্দীন, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মুহসিন উদ্দীন, সঞ্জয় কুমার সরকার, উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জীবনানন্দ দাশ রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মোহসিনা হোসাইন।