শিবালয় (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা: অব্যাহত ভাঙনে যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ভারাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবন।

সম্প্রতি এলজিইডি মানিকগঞ্জ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খোরশেদ আলম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (৭ জুন) দুপুরের দিকে তিনতলা বিশিষ্ট স্কুলের ভবনটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। বাচামাড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ওয়াজেদ আলী সরকার জানান, গত কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীর ভাঙনের মুখে পড়ে দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা ইউনিয়নের ভারাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। প্রথমদিকে স্কুলের একটি অংশ নদীগর্ভে ডুবে যায়। পরে শনিবার দুপুরের দিকে ভবনের বাকি অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভবনের ভেতর থাকা চেয়ার টেবিলসহ কিছু আসবাবপত্র বাইরে বের করা গেলেও অনেক কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

দৌলতপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিয়ান নুরেন জানান, খবর পাওয়ার পর শুক্রবার তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শন করতে স্থানীয় প্রকৌশলীকে পাঠানো হয়। কিন্তু শনিবার জানতে পারি ভবনটি সম্পূর্ণরূপে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

বিআইডব্লিউটিসি উপ-মহাব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুস সালাম বলেন, আজ একটু চাপ বেড়েছে। আশা করি কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এখন ১৬টি ফেরি পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া নৌরুটে ও আরিচা- কাজিরহাট নৌরুটে ৬ ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যমুনা সেতুতে দীর্ঘ যানজট হওয়ার কারণে আজ সকাল থেকে আরিচা- কাজিরহাট নৌরুটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।