বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভিসি প্রফেসর ড. এ. এস. এম. আমানুল্লাহ বলেছেন, “বাঙালি ও বাংলাদেশি সংস্কৃতি বিকাশের মধ্য দিয়েই আমরা একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটাতে চাই।

তিনি বলেন, “বাঙালি জাতির সংস্কৃতি হাজার বছরের ঐতিহ্যে পরিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সামর্থ্য রয়েছে, তা কাজে লাগিয়ে দেশের প্রায় আড়াই হাজার কলেজে এই সংস্কৃতির বিকাশ ঘটিয়ে বিশ্বদরবারে আমাদের সংস্কৃতি তুলে ধরতে চাই।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক অগ্রগতি নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০২৫ সালের মধ্যেই একটি ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আশা করছি, ২০২৬ সালের মধ্যে সেশনজট নিরসন হবে। পাশাপাশি, কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করতে কলেজ পর্যায়ে মনিটরিং ও অডিটিং ব্যবস্থা চালু করেছি।

দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, “গত ১৫-১৬ বছর ধরে আমরা একটি শ্বাসরুদ্ধকর সময় অতিক্রম করেছি। তবে গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছি। এই অগ্রযাত্রা ধরে রেখেই আমরা অসাম্প্রদায়িক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল ২০২৫) বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. আমানুল্লাহর নেতৃত্বে এই শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি অধ্যাপক মোঃ লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল ইসলাম, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ. টি. এম. জাফরুল আযম, বিভিন্ন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং বিভাগের প্রধানগণসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

রঙিন সাজে সজ্জিত শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে একাডেমিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর একাডেমিক ভবনের সিনেট হলে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রো ভিসি অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল ইসলাম ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ. টি. এম. জাফরুল আযম। সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন প্রো ভিসি অধ্যাপক মোঃ লুৎফর রহমান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন গণমানুষের শিল্পী মৌসুমী চৌধুরী ও পরান আহসান। শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরব উপস্থিতিতে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ।