রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই পুর্নজাগরন ও তারুন্যের উৎসব উপলক্ষে গতকাল বুধবার বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উত্তর গেটে কর্মসুচ’র উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ শওকাত আলী। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার ডক্টর মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, রূপালী ব্যাংকে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার একেএম ফেরদৌস অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবের সাথে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস গত মঙ্গলবার রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয়েছে। সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেট থেকে বর্ণাঢ্য র্যালীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ শওকাত আলী। উপাচার্যের নেতৃত্বে র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। ঘোড়ারগাড়ি ও বাদ্যযন্ত্রের তালেতালে র্যালিটি পার্কের মোড় শহিদ আবু সাঈদ চত্বর, মডার্ন মোড় হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
শেষে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই গণঅভ্যুত্থান এক গৌরবময় অধ্যায়। যে উদ্দেশ্য নিয়ে জুলাই আন্দোলন হয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। ফ্যাসিবাদ ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অগ্রসৈনিক শহিদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগ বিশ্বের বুকে বিরল ঘটনা। তিনি বলেন, শহিদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগ ছিল এই আন্দোলনের উজ্জ্বল নিদর্শন, যা আজও তরুণ প্রজন্মের জন্য সংগ্রামের অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছে।
দবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর খেলার মাঠে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রীতি খেলার আয়োজন করা হয়। বিকেলে বাদ আছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জুলাই শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের আশু রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে আতশবাজি প্রদর্শন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে স্মরণকরে গান, কবিতা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে তিন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়।