শিক্ষাঙ্গন
কর্মস্থলে না আসলেও স্বাক্ষর হয় হাজিরা খাতায়
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া দোলাপাড়া আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক মেহেদী হাসান প্রবাসে থাকলেও নিয়মিত তার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করা হচ্ছে। ওই অফিস সহায়কের বড় বোন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক
Printed Edition
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া দোলাপাড়া আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক মেহেদী হাসান প্রবাসে থাকলেও নিয়মিত তার হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করা হচ্ছে। ওই অফিস সহায়কের বড় বোন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হওয়ায় সুবাদে এই অনিয়মটি হয়ে আসছে। জানা গেছে ২০০০ সালে মাগুড়া দোলাপাড়া আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টিত হয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ২২ বছর পর ২০২৩ সালে এমপিওভুক্ত করা হয়। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক রয়েছে ১১ জন, কর্মচারী ৬ জন। এর মধ্যে ৪ জন শিক্ষক এমপিও হলেও কর্মচারী ৬ জনই এমপিও হয়েছেন।
জানা গেছে, যে ৬ জন কর্মচারী এমপিওভুক্ত হয়েছেন তার মধ্যে একজন প্রধান শিক্ষিকা তানজিনা আক্তার লাইজুর আপন ভাই মেহেদী হাসান। তাকে ওই বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে গত ২০২৩ সালের ৯ই নবেম্বর যোগদান দেখানো হয়। তার এমপিও হয় ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল। তিনি বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করলেও তার হয়ে প্রধান শিক্ষিকা হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর করে চলেছেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা তানজিনা আক্তার লাইজুর সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে তার স্বামী ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। প্রধান শিক্ষিকার কাছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে তিনি বলেন, খাতা ভুল করে বাড়িতে রেখে এসেছি। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হক বলেন প্রবাসে থেকে বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে থাকার কোন বিধান নেই। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।