ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের দিনে সেনাসদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং ভোট গণনার সময়ও কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করবেন। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রধান প্রবেশপথে সেনাসদস্যরা অবস্থান করবেন। ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রগুলো কর্ডন করে রাখবেন তারা, যাতে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনের দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধ থাকবে এবং নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকেই হলগুলোতে কোনো বহিরাগত প্রবেশ করতে পারবে না।

এদিন থেকেই ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল ব্যবহারে নির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। প্রচার চালানোর সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রচার চালানো যাবে। তবে ছাত্রীদের হলে সময়সীমা রাত ১০টা পর্যন্ত নির্ধারিত। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ২১ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজন ছাত্রদল সমর্থিত। এ ছাড়া বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রের ওপর আপিল করেছিলেন ৩৪ জন প্রার্থী। যাচাই-বাছাই শেষে সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে জুলিয়াস সিজার তালুকদার ও বায়েজিদ বোস্তামীকে প্রার্থী ও ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জুলিয়াস সিজার প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং ন্যায়বিচার চেয়েছেন।

নিরাপদ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। ভিসি নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রক্টর, ডিএমপি কমিশনারসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নির্বাচনী নিরাপত্তা, নির্বিঘেœ ভোট প্রদান ও গণনা নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

আচরণবিধির ব্যাপারে বলা হয়েছে, নির্বাচনে প্রার্থীদের জন্য কড়া আচরণবিধি প্রণয়ন করা হয়েছে; কেবল সাদাকালো পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল ব্যবহার করা যাবে; ক্যাম্পাস ও হলের স্থাপনা, দেয়াল, যানবাহন বা গাছে পোস্টার লাগানো নিষিদ্ধ; ফটক, তোরণ, আলোকসজ্জা বা ক্যাম্প নির্মাণ করা যাবে না; প্রচারণায় মুক্তিযুদ্ধ, ধর্মীয় বা পারিবারিক পরিচয় ব্যবহার করে কাউকে অপদস্থ করা যাবে না; উপঢৌকন, খাবার বা পানীয় বিতরণ নিষিদ্ধ; সভা-সমাবেশের জন্য কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা আগে অনুমতি নিতে হবে; আচরণবিধি ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার অথবা আইন অনুযায়ী শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে; ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে প্রার্থীদের প্রচারণা।

প্রচারণার প্রথম দিনে ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করার সময় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থীজোটের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি আমাদের নির্বাচিত করে তাহলে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনৈতিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থী বান্ধব অ্যাকাডেমিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখতে পাচ্ছি। বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীদের উচিত তারা নির্বাচিত হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কিভাবে সাজাবে অথবা কেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে চায়। সেই রূপরেখা শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরা। কিন্তু যারা ট্যাগিং এবং ফ্রেমিংয়ের রাজনীতি করছে, সেই আগের ধারায়ই রাজনীতি করবে শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে। আমরা যারা বিভিন্ন পদে প্রার্থী আছে এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন যেন তাদের আইডিয়াগুলা শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরে। এতে শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে।

সাবেক সমন্বয়ক সাদিক বলেন, একজন শিক্ষার্থী অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আমলা অথবা একাডেমিশিয়ান হতে চায় কিন্তু আবাসন সংকট, ক্লাসরুম সংকট, শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ এবং কো কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটি না থাকায় শিক্ষার্থীদের সেই স্বপ্ন ভেঙে যায়। রাজনীতির নামে অপরাজনীতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের রাজনীতির মানসিকতা নষ্ট করে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা যদি আমাদের নির্বাচিত করে, ম্যান্ডেট দেয় তাহলে আমরা রাজনৈতিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাকাডেমিক ও শিক্ষার্থী বান্ধব বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করব, ইনশাআল্লাহ।

ঢাবি শিবিরের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমরা নির্বাচিত হলে শিক্ষকদের মূল্যায়নের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নের চেষ্টা করব। লাইব্রেরির সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করব। এর পাশাপাশি আমরা সকল লাইব্রেরিকে ই-লাইব্রেরির অধীনে নিয়ে আসব। বাংলাদেশের রপ্তানির বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম খাত ছিল লেদার টেকনোলজি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে উন্নত মেশিনারিজ এবং সিন্ডিকেটের ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার স্বাক্ষর রাখার সুযোগ পাচ্ছে না বলে আমরা মনে করছি।

জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, আমরা দেখছি হঠাৎ হঠাৎ রাত আট নয়টা অথবা বারোটায় বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ডাকসু নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা প্রফেশনাল আচরণ প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে কোন একটা বিষয় মনে হলো আর খসড়া বিজ্ঞপ্তি আপলোড করে দেওয়া এটা খুবই দুঃখ জনক। তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য স্বাধীন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা, মিডিয়ার ক্ষেত্রে কেন ধরনের কোন বাঁধা না রাখা, ভোটদানের লজিস্টিক সাপোর্টগুলো প্রয়োজনে বাইরে থেকে আগেই নিয়ে আসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা উদাত্ত আহ্বান করছি।

ডাকসু ভিপি প্রার্থী ও ছাত্রদল নেতা আবিদুল ইসলাম খান অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ৮ কেন্দ্রে ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর ভোটাধিকার সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ সম্ভব হবে না। ভোটকেন্দ্র বাড়ানোর দাবি জানান তিনি। এদিন সোয়া ১২টার দিকে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের ৩য় তলায় নির্বাচন কমিশনারের সাথে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। আবিদ বলেন, ডাকসু নির্বাচন কমিশন আচরণবিধি শুনিয়েছে, কিন্তু প্রার্থীদের মতামত গ্রহণ করেনি। ডাকসু ও হল সংসদ মিলিয়ে প্রতিজনকে ৪১টি ভোট দিতে হবে, যা সময়সাপেক্ষ। ১ ঘণ্টায় একটি বুথে সর্বোচ্চ ৪০-৫০ ভোট দেয়া সম্ভব। যদি ২০টি বুথ থাকে, তবুও দিনে ১১০০-১২০০ ভোটের বেশি কাস্ট সম্ভব নয়। এ অবস্থায় ৮টি ভোটকেন্দ্র দিয়ে কোনোভাবেই সকল শিক্ষার্থীর ভোট নিশ্চিত করা যাবে না।

তিনি সতর্ক করে বলেন, ভোটকেন্দ্র না বাড়ালে ২০১৯ সালের মতো আবারও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ফেইক লাইন তৈরি হতে পারে। ভেতরে ছাত্রলীগ দাঁড়িয়ে ছিল, কিন্তু অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা ঢুকতে পারেনি। এবারও অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা যদি দেরিতে আসে, তবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করা সম্ভব হবে না। এসময় আবিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টির অভিযোগও করেন। তার দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ ২ নামক ফেসবুক গ্রুপের নাম পরিবর্তন করে শুধু ‘শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিটিআরসি এবং ডাকসু নির্বাচন কমিশন গ্রুপটি বন্ধের নির্দেশ দিলেও তা অমান্য করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট গোষ্ঠী এটি ব্যবহার করে তাদের প্রচারণা চালাচ্ছে।

এদিকে বাগছাসের প্যানেল ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি পদপ্রার্থী আব্দুল কাদের অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) কৃত্রিম সংকট তৈরী করছে। তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্র ও আচরণবিধিতে অনিয়ম রয়েছে, অথচ ইসি কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মঙ্গলবার দুপুরে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি। আব্দুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, গত তিন মাস ধরে নির্বাচন কমিশন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মিটিং-মিটিং খেলা খেলছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে মিটিংয়ে গিয়েছি, কিন্তু তারা কেবল নিজেদের কথা বলেছেন, আমাদের কথা শোনেননি। এর প্রভাব এখন গঠনতন্ত্র ও আচরণবিধিতে দেখা যাচ্ছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আচরণবিধি দুর্বোধ্য এবং অস্পষ্ট।

তিনি আরো বলেন, নারীদের তিনটি হলের ভোট একটি কেন্দ্রে নেওয়া হবে। টিএসসির মতো স্থানে ১৭৬টি ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে। ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার। অথচ একটি কেন্দ্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২টি ভোট গ্রহণ সম্ভব। ডাকসুর ব্যালট পাঁচ পৃষ্ঠার, আর হল সংসদের ব্যালট এক পৃষ্ঠার। একজন ভোটারকে প্রার্থী চিহ্নিত করতে কমপক্ষে ১০ মিনিট সময় লাগবে। এ অবস্থায় একটি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১৫-২০ হাজার ভোট গণনা করা সম্ভব হবে, বাকি ৩০ হাজার ভোট গণনার বাইরে থেকে যাবে। নারী শিক্ষার্থীরা এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হবেন।

অন্যদিকে ডাকসু ভিপি প্রার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি বলেন, এই প্রশাসন গত ডাকসু নির্বাচনি প্রশাসনের চেয়েও দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং বাজে আচরণ করছে। আমাদের কোন বক্তব্য না নিয়ে এই প্রশাসন ফ্যাসিস্ট আচরণ করছে। ইমি বলেন, ডাকসু নির্বাচন কমিশন যেহেতু প্রার্থীদের কোন কথা শুনবে না সেহেতু সাংবাদিকদের মাধ্যমে নির্বাচনি আচরণবিধি জানিয়ে দিতে পারত। সিনেটে ডেকে এনে আমাদের প্রচারণার এই প্রথম ঘন্টা অপচয় না করলেই বেশি ভালো হতো। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় ছিল, সাংবাদিকরাই নিউজ করেছেন যে, গত এক সপ্তাহ ধরে কিন্তু রাজনৈতিক দলের সমর্থিত প্যানেলগুলো কিন্তু বিধিমালা ভেঙে প্রচারণা করেছে এবং মেয়েদের হলে মেয়েদের থাকা নিয়ে যে সতর্কতা দেওয়া হয়েছে তা আমাদের গ্রহণযোগ্য মনে হয় নাই।

চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৪৭১ জন :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ২৮ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ১০ জন প্রার্থী আপিল না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। চূড়ান্তভাবে ৪৭১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

মঙ্গলবার প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক জসীম উদ্দীন এ তথ্য জানিয়েছেন। পদভিত্তিক প্রার্থী সংখ্যায় দেখা যায় -- সহ-সভাপতি (ভিপি): ৪৫ জন,সাধারণ সম্পাদক (জিএস): ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস): ২৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক: ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক: ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক: ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক: ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক: ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক: ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক: ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক: ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক: ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক: ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক: ১১ জন, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক: ১৫ জন, সদস্য পদ: ২১৭ জন।