ইবি সংবাদদাতা:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগঠন (ইকসু) গঠন এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে পুনরায় একত্রিত হয়েছে ইবির আপামর ছাত্রসমাজ।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির করিডোরে সকল সংগঠন ও বিভাগের প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সকলে এক ছাতার নিচে এসে ইকসুর দাবী উত্থাপন কল্পে আগামীকাল ১১ টায় আরো বৃহৎ পরিসরে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ সময় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ, শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, খেলাফতে ছাত্র মজলিস ইবি শাখার সভাপতি সাদেক আহম্মেদসহ অন্যান্য ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন গুলোর নেতাকর্মীরা।

সাংবাদিক প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তাজমুল জায়িম, সেক্রেটারি রাকিব রিফাত, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি আজহারুল ইসলাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ফারহানা নওশীন তিতলিসহ ক্যাম্পাসে কার্যরত অন্যান্য সাংবাদিক বৃন্দ।

এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে তার সমাধান কল্পে ইকসু গঠনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন এবং ইকসু গঠনের প্রক্রিয়া দ্রুতীকরণে ছাত্র শিক্ষকসহ সকল অংশীজনদের ভূমিকা কি হতে পারে এ নিয়ে মতবিনিময় করেন।

তারা বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও, দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় এখানকার শিক্ষার্থীরা এখনও নানান সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার রক্ষার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু)। অথচ দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসন নানা তালবাহানা করে এর কার্যক্রম শুরু করতে গড়িমসি করে আসছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আর কোনো পিছুটান নয়।

মতবিনিময় শেষে তারা শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ইকসু গঠনকে সামনে রেখে আগামীকাল বেলা ১১ টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের ও সকল সেশনের ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে এক লিয়াজোঁ কমিটি গঠন এবং আন্দোলনের রূপরেখার তৈরির জন্য বৃহৎ পরিসরে এক আলোচনা সভা আয়োজনের সিদ্ধান্তে উপনীত হন।

সেখানে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব বিভাগ, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এবং জুলাই অভুত্থানকে ধারনকারী সকল ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।