চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচন তিন দিন পিছিয়ে আগামী ১৫ অক্টোবর (বুধবার) অনুষ্ঠিত হবে। পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী, এই নির্বাচন আগামী ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে দৈনিক সংগ্রামকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাকসু নির্বাচনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী।

তিনি জানান, পূজার ছুটির কারণে প্রার্থীরা প্রচারের জন্য মাত্র পাঁচ কার্যদিবস সময় পাচ্ছিলেন। এই বিষয়ে গত সোমবার প্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের সাথে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

ড. সিদ্দিকী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই উদ্বেগ আমরা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেছি।’ এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে ১৫ অক্টোবর নির্ধারণ করা হলো।

এই পরিবর্তনের ফলে প্রার্থীরা প্রচারণার জন্য আরও বেশি সময় পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই শেষে ১৯ জনের মনোনয়ন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাকসু নির্বাচনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. আরিফুল হক সিদ্দিকী।

তিনি জানান, মনোনয়নপত্রে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকায় প্রার্থিতা স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে সংশোধনযোগ্য ভুল থাকলে আপিলের মাধ্যমে পুনর্বহালের সুযোগ রয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী, সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে জমা দেওয়া ২৫ মনোনয়নের মধ্যে বৈধ হয়েছে ২৩টি। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ২২টির মধ্যে বৈধ হয়েছে ২১টি। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জমা পড়া ২২টি মনোনয়নই গৃহীত হয়েছে। এছাড়া ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১২ জনের মধ্যে বৈধ প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন ১১ জন। সব মিলিয়ে স্থগিত প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯।

চাকসু নির্বাচনের জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৮৮ জন শিক্ষার্থী ফরম সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে ৪২৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ১৯ জনের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে।

এবারের নির্বাচনে ছাত্রদল, শিবিরসহ ১১টি ছাত্রসংগঠন পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করেছে। দীর্ঘ ৩৪ বছর পর আগামী ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। সাড়ে ২৭ হাজার শিক্ষার্থী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ঐতিহাসিক চাকসু নির্বাচনের জন্য।