ববি প্রতিনিধি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনকে নিয়ে গতকাল, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার প্রতিবাদে আজ, রবিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেছেন একই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবি, বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষকের পৃষ্ঠপোষকতায় এই প্রতিবেদন করানো হয়েছে এবং সেখানে উল্লেখিত তথ্যসমূহ পুরোপুরি সঠিক নয়।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ড. জামাল উদ্দিন জুলাই আন্দোলনের সময় সরাসরি শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাজ করেছিলেন। অন্যদিকে, সেশনজট কমাতে তিনি এক সেমিস্টারে ১৫টি কোর্সের ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নাল মার্কসে অসম বণ্টন করেন। যারা তার কথা মান্য করেন, তাদেরকে দেন বেশি মার্কস। একাডেমিক ওয়ার্কিং টাইমেও তিনি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের মতো অভিযোগও উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে।
মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেওয়া মেহতাব হোসেন বলেন, "আমাদের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে বেশি কোর্স পড়ানোর, এটা সত্য। বিভাগের শিক্ষক সংকট থাকায় তিনি একটু বেশিই কোর্স নেন। আমরা শিক্ষার্থীরা স্যারের বিরুদ্ধে আনিত সকল অপবাদ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। গুটিকয়েক শিক্ষার্থী বিভাগের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে। যারা এই হীন কাজের সঙ্গে জড়িত, ক্যাম্পাস থেকে তাদের বিতাড়িত করতে হবে। অপপ্রচারকারীরা বিভাগের সম্মানহানি করছে। আমরা চাই, ভবিষ্যতে এমন কাজ যেন আর না হয়। জনকণ্ঠ (প্রদত্ত তথ্যে 'জণকণ্ঠ') থেকে যে নিউজ করা হয়েছে, তা তমালসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীর রেফারেন্সে হয়েছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে যদি এ ঘটনা সত্যি হতো, তাহলে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে আসত না। জনকণ্ঠকে তাদের নিউজ প্রত্যাহার করতে হবে।"
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মেহেদী হাসান সবুজ বলেন, "আমাদের বিভাগের সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে বাজে রাজনীতি, মিথ্যা প্রোপাগান্ডা আগেও চালানো হয়েছে। আমাদের বিভাগের আরেক শিক্ষক-শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বাজে খবর করানো হয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে। বর্তমানে চেয়ারম্যানসহ বিভাগের সিনিয়র-জুনিয়রের নামে অপপ্রচারমূলক তথ্য ছড়ানো হয়েছে, যার সঙ্গে তারা সংযুক্ত নন। তার প্রতিবাদ স্বরূপ আমাদের মানববন্ধন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।"