পরিবেশ
হারিয়ে যাচ্ছে রানি মাছ
এশিয়া মহাদেশের অন্যতম হাওর "হাকালুকি"। নদ-নদী, খাল-বিল, ঝিলে বিভিন্ন জাতের মাছ ধরা পড়লেও দেশীয় প্রজাতির রাণী মাছের দেখা মিলছে না। দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন জাতের মাছের সঙ্গে রাণী মাছ আজ বিলুপ্তির পথে। বিশেষ করে আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি সময় হতে কার্তিক মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হাকালুকি হাওর ও বিভিন্ন জলাশয়ে অন্যান্য দেশীয় মাছের সাথে রাণী মাছ ধরা পড়তো। কিম্তু কয়েক বছর যাবত এ মাছের খুব একটা দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
এশিয়া মহাদেশের অন্যতম হাওর "হাকালুকি"। নদ-নদী, খাল-বিল, ঝিলে বিভিন্ন জাতের মাছ ধরা পড়লেও দেশীয় প্রজাতির রাণী মাছের দেখা মিলছে না। দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন জাতের মাছের সঙ্গে রাণী মাছ আজ বিলুপ্তির পথে। বিশেষ করে আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি সময় হতে কার্তিক মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হাকালুকি হাওর ও বিভিন্ন জলাশয়ে অন্যান্য দেশীয় মাছের সাথে রাণী মাছ ধরা পড়তো। কিম্তু কয়েক বছর যাবত এ মাছের খুব একটা দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
অন্যান্য সময়ের চেয়ে এখন এ মাছ একেবারেই কম পাওয়া যাচ্ছে। সরেজমিনে হাকালুকি হাওরে গিয়ে মৎস্যজীবিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিলে পাখি শিকারে বিষ প্রয়োগ ও বিল সেচে মাছ ধরার কারনে এ প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে আগামীতে রানী মাছ একেবারেই না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জাতীয় মাছ টিকিয়ে রাখতে ও বংশ বিস্তারের লক্ষ্যে মৎস্য বিভাগের কোনো উদ্যোগ নেই বল্লেই চলে। এর ফলে হাকালুকি হাওরসহ খাল- বিল, জলাশয়ের অতি পরিচিত রাণী মাছ আজ বিলুপ্তির পথে। ফলজ, বনজ ও জলজ সম্পদে পরিবেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর, ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থান ওই হাকালুকি হাওর।
এ হাওর ও জলাশয় থেকে সারা বছরই মাছ ধরা হয়। হাকালুকি হাওরের খাল-বিলসহ আশপাশের জলাশয় ও মৎস্য ভান্ডারগুলোতে নানা প্রজাতির মাছ বংশ বিস্তার করে। এ লক্ষ্যে মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে অভয়াশ্রমও গড়ে তোলা হয়েছে। তেলাপিয়া, কার্পো, রুই, কাতলাসহ ওই জাতীয় মাছের উৎপাদন ও বংশ বিস্তারে মৎস্য বিভাগ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহন করেছে। কিন্তু দেশীয় ও স্থানীয় প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তারে ও রক্ষায় তেমন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, হাকালুকি হাওরে ২৪৩ টি ছোট-বড় বিল রয়েছে। বিভিন্ন খাল-বিল ও জলাশয় থেকে প্রায় ২৩ প্রজাতির দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ওই জাতীয় মাছের বংশ রক্ষায় কোনো কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বিলুপ্তিপ্রায় এ মাছ সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের অনেকেই পরিচিত হতে পারছেনা। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাণী মাছ। রাণী মাছ বৃহত্তর সিলেটের মানুষের কাছে বেশ পরিচিত। খেতেও সুস্বাদু।
আগে বিভিন্ন হাটবাজারে রাণী মাছের ব্যাপক বেচা-কেনা ছিলো। ধীরে ধীরে এ প্রজাতির মাছের সংখ্যা কমতে থাকায় অতি পরিচিত রাণী মাছ আজ অনেকটা হারিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে অত্রাঞ্চলের মৎস্যজীবিদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, অন্যান্য মাছের মতো রাণী মাছ চাষে সরকারিভাবে উদ্যোগ করা হলে হাকালুকি হাওরসহ আশপাশের জলাশয়গুলোতে আবারো অতীতের ন্যায় রাণী মাছের দেখা মিলবে।