সারাদেশে আগামী রবিবার (১২ অক্টোবর) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে মাসব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় প্রায় ৫ কোটি শিশুর প্রতিজনকে অত্যন্ত কার্যকর এক ডোজ টাইফয়েডের টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।

তিনি জানান, সারাদেশে স্কুলে এই ক্যাম্পেইন চলবে চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত। আর কমিউনিটি ক্লিনিকে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত টাইফয়েডের টিকাদান ক্যাম্পেইন চলবে।

ক্যাম্পেইনের আওতায় প্রায় ৫ কোটি শিশুর প্রতিজনকে অত্যন্ত কার্যকর এক ডোজ টাইফয়েডের টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বুধবার (৮ অক্টোবর) পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৬৮ লাখ শিশু টাইফয়েডের টিকার জন্য নিবন্ধিত হয়েছে। যাদের বার্থ সার্টিফিকেট নেই কিংবা স্কুলে পড়ে না, তাদেরও ম্যানুয়ালি নিবন্ধন করা হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এই বিশেষ সহকারী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে এই টিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, এই টিকা নিরাপদ। এছাড়া ক্যাম্পেইন থেকে শুরু করে ভ্যাকসিনেশনে সব সহায়তা গ্যাভি (বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র শিশুদের জন্য টিকা কিনতে সহায়তাকারী সংস্থা) করছে। সরকারের এতে কোনো খরচ নেই।

নির্ধারিত বয়সের সবাইকে দেয়ার জন্য টিকা মজুদ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে যে শিশুমৃত্যু হয়, তার দুই তৃতীয়াংশের কারণই হলো টাইফয়েড। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই টিকা দিলে ৩ থেকে ৭ বছর প্রটেক্টেড (ঝুঁকিমুক্ত) থাকা যায়। এ সময় এই টিকাদানের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ বা অন্য কোনো নামে টাকা নেয়া যাবে না উল্লেখ করে বিনামূল্যে এই টিকা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টিকাদান কর্মসূচিকে ঝুঁকির মুখে ফেলে স্বাস্থ্য সহকারীরা তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে মনে করি না। তারা ১৪ বছরের পুরানো দাবি এখন সামনে নিয়ে এসেছেন।