DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

স্বাস্থ্য

ভিটামিন ‘এ’ প্লাস শিশু স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: ঢাকা সিভিল সার্জন

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্টাফ রিপোর্টার
IMG-20250313-WA0061
ভিটামিন ‘এ’ প্লাস শিশু স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: ঢাকা সিভিল সার্জন

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় পুষ্টি সেবা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবারের ক্যাম্পেইনে ঢাকা জেলায় ৭৫,৫৭২টি, ৬-১১ মাস বয়সী এবং ৪,৬১,৯২৯টি, ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।

এর কার্যকারিতা ও বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে সাংবাদিকদের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, প্রতিটি এলাকায় প্রত্যেক শিশু যেন ভিটামিন ‘এ’ প্লাস পায় সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অভিভাবকদের তাদের শিশুদের নিকটস্থ কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে ভিটমিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য অনুরোধ করে তিনি বলেন, এ ভিটামিন শিশুর সুস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ডাঃ সরকার ফারহানা কবীর, ডেপুটি সিভিল সার্জন, ঢাকা, ডাঃ মোঃ হাসান আলী এম.ও. সিএস, ঢাকা, এবং মেডিকেল অফিসার ডাঃ রিফাত শামীম।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভিটামিন ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনটি সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। ঢাকা জেলায় ১৭৪৩টি ইপিআই কেন্দ্র, ১৬১৮টি আউটলেটে ও অতিরিক্ত ১২৫টি কেন্দ্রে মোট ৩৪৮৬ জন সেচ্ছাসেবক এবং ২৯ জন গভাঃস্টাফ এই কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। সরকারের সরবরাহকৃত এই ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত এবং শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। অভিভাবকদের গুজবে কান না দিয়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে তাদের শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।

জাতীয়ভাবে এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করে।

অভিভাবকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে, শিশুকে ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। কাঁচি দিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কেটে এর ভিতরে থাকা সবটুকু তরল ঔষধ উদ্বৃত্ব শিশুকে চিপে খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খওয়ানো যাবে না। ৬ মাসের কম বয়সী এবং ৫ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলা হয়, এ ক্যাম্পইনটি দেশের শিশুদের সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করতে এবং ভিটামিন ‘এ’-এর ঘাটতি মোকাবিলা করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এতে শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক উন্নয়ন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পাবে।

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২৫ আগামীকাল ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল রঙের (১,০০,০০০ আইইউ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল রঙের (২,০০,০০০ আইইউ) ভিটােমিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।