বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে অবৈধ আয়কর প্রত্যাহার, লাগামহীন মামলা ও অহেতুক জরিমানা বন্ধ সহ নানাবিধ প্রশাসনিক জটিলতা ও লাগামহীন হয়রানী বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ দবির হোসেন সভাপতিত্বে এবং সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জিল্লুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহীনের যৌথ সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সমিতির প্রধান উপদেষ্টা গোলাম মোস্তফা ফুয়াদ এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সমিতির উপদেষ্টা ডা. সুলতান মাহমুদ। মানববন্ধনে বিশেষ বক্তা ছিলেন যথাক্রমে আন্দোলন কমিটির ঢাকা উত্তরের সভাপতি ওমর ফারুক বাবু ও বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাদল মাতবর। উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা তাদের ওপর নানাবিধ প্রশাসনিক হয়রানী, মামলা, অবৈধভাবে টোল আদায় সহ নানাবিধ বৈষম্যের কথা তুলে ধরেন এবং অবিলম্বে তা বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমানে বেসরকারি প্রায় ৯ হাজার অ্যাম্বুলেন্স ‘ভাড়ায় চালিত নয়’ মর্মে নিবন্ধিত থাকায় মালিক ও চালকরা নানা প্রশাসনিক জটিলতা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। যদিও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস একটি সেবামূলক কাজ। বিগত সরকারের আমলে ‘মুক্তির বর্ষ’- উপলক্ষে দু’বছরের ট্যাক্স অব্যাহতি ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে এক সঙ্গে তিন বছরের ট্যাক্স পরিশোধের দাবির কারণে দেশের প্রায় ১৫ শতাংশ অ্যাম্বুলেন্সের ভাগক্ষপত্র নবায়ন করা সম্ভব হয়নি, ফলে রাস্তায় নামলেই পুলিশ মামলা দিচ্ছে-বার প্রতিটির পরিমাণ ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ফলে অনেক অ্যাম্বুলেন্স মালিক সেবা প্রদান স্থগিত রাখতে বাধ্য হচ্ছেন।
তারা বলেন, দেশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর অ্যাম্বুলেন্স সেবা শতভাগভাবে এ মালিক ও কর্মীদের মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে। অথচ এত গুরুত্বপূর্ণ খাতটিকে এখনো বাণিজ্যিক নিবন্ধন না নিয়ে ‘ভাড়ায় চালিত নয়’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে এবং ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে একইভাবে। তারা দাবি করেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় অ্যাম্বুলেন্স মালিকরা বর্তমানে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং প্রশাসনিক হয়রানির মুখে পড়ছেন। যা কোন ভাবেই সঙ্গত নয়।
তারা মানববন্ধনে সরকারের কাছে দাবি-দাওয়া পেশ করেন। এর মধ্যে রয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সকে একটি জরুরি সেবা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে অবিলম্বে বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রেশন প্রদান করতে হবে, অ্যাম্বুলেন্সে বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রেশন না দেওয়া পর্যন্ত সড়কে ট্রাফিক আইনের আওতায় মামলা প্রদান কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে, মহাসড়কে অ্যাম্বুলেন্সের চলাফেরা টোল ফ্রি করতে হবে, অবৈধ আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে এবং অযৌক্তিক জরিমানা করা যাবে না।