গত ২৪ ঘণ্টায় মশাবাহিত এ রোগে প্রাণ হারিয়েছেন চারজন, হাসপাতালে নতুুন করে ভর্তি হয়েছেন ৭৮১ জন রোগী।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এই হিসাব নেওয়া হয়েছে।

চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়ে মোট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫২ হাজার ৮৮৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনই পুরুষ। তাদের বয়স যথাক্রমে ১৩, ১৪, ৩৯ ও ৫৫ বছর। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুর সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়েছে সেপ্টেম্বরে। ওই মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন ১৫ হাজার ৮৬৬ জন এবং মৃত্যু হয় ৭৬ জনের।

অক্টোবরের প্রথম আট দিনে ভর্তি হন ৫ হাজার ৫৪৩ জন, মৃত্যু হয় ২৬ জনের। জুলাইয়েও মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৬৮৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৪১ জনের।

এর আগে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিলে ৭, মে মাসে ৩, জুনে ১৯ ও আগস্টে ৩৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। মার্চে মৃত্যুর কোনো তথ্য দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া ৭৮১ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৭৮ জন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা।

এছাড়া ঢাকার বাইরের চিত্রে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশন ছাড়া) ১০১ জন, ময়মনসিংহে ৪০, চট্টগ্রামে ৮২, খুলনায় ৪৮, রাজশাহীতে ৬৩, রংপুরে ৩২, বরিশালে ১৩০ এবং সিলেটে সাতজন নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২ হাজার ৪৫২ জন ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ৮২৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৬২৫ জন।

২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গুর পরিসংখ্যান রাখতে শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ডেঙ্গুর ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ বছর। সে বছর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মারা গিয়েছিলেন ১ হাজার ৭০৫ জন।