আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক বিষয়াবলি নিয়ে বার্ষিক সম্মেলনের চতুর্থ আসর 'বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৫' আগামী ২২ থেকে ২৪ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর গভার্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) এ ঘোষণা দেয় আয়োজক প্রতিষ্ঠান সিজিএস। তারা জানিয়েছে, এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, 'বিরোধ, বিভাজন ও পুনর্সমীকরণ'।
বর্তমান বিশ্বের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং বঙ্গপোসাগরীয় অঞ্চল ও এর বাইরের নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও জলবায়ু নিয়ে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে এই প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগের সম্মেলনগুলোর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এই বছর 'বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৫'-এ বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশের ২০০ জন বক্তা এবং ৮০০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত থাকবেন।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থাকবেন রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, কূটনীতিক, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
বিশ্ব যখন ভূরাজনৈতিক ভাঙন ও প্রচলিত জোটের কাঠামো পুনর্বিন্যাসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন 'বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৫' দক্ষিণ এশিয়ার নেতৃত্বাধীন সংলাপ, বিশ্লেষণ এবং সহযোগিতার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
এই সম্মেলন ক্ষমতার পুনর্সজ্ঞা, প্রযুক্তিগত বিশৃঙ্খলা, জলবায়ু পরিবর্তন, সংঘাত ও সংযোগের ছেদবিন্দুতে গুরুত্বপূর্ণ সংলাপের সুযোগ করে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ বছরের পাঁচটিমূল আলোচ্য বিষয় হলো- পরিবর্তনশীল মৈত্রী ও ক্ষমতার নতুন জ্যামিতি; সংকটের বহুমুখী বিস্তার: যুদ্ধ, ভঙ্গুরতা ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার অবসান; কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিভ্রান্তি ও জ্ঞানের অস্ত্রায়ন; নিষেধাজ্ঞা, ঋণ ও ঝুঁকি হ্রাসের যুগে অর্থনৈতিক পুনর্বিন্যাস এবং উষ্ণায়নকালীন সময়ে জলবায়ু, সীমান্ত ও নিরাপত্তা।
সিজিএস জানিয়েছে, বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৫-এ আমন্ত্রিত সব বক্তা, প্রতিনিধি, অংশগ্রহণকারী ও সাংবাদিকের জন্য নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।
সাধারণত বিভিন্ন সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, কূটনৈতিক মিশন, বহুজাতিক এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এ আয়োজন করে সিজিএস।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রাসঙ্গিক ও গতিশীল ভূরাজনৈতিক সম্মেলনগুলোর অন্যতম হিসেবে 'বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৫' হয়ে উঠবে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ, যেখানে চিন্তাবিদ, নেতৃত্বশীল ব্যক্তি এবং নীতিনির্ধারকেরা বর্তমান বিশ্বের জটিল বাস্তবতা নিয়ে মতবিনিময় করবেন এবং ভবিষ্যতের পথ খুঁজে বের করবেন।