এইচ এম আকতার নিউইয়র্ক থেকে : প্রবাসিরা দেশ গঠনে ভূমিকা রাখলেও তাদের ভোটাধিকার নেই। সরকার প্রবাসিদের ভোটাধিকার দেয়ার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। কোন বাঁধার কারণে যেনো তা আটকে না যায়। দেড় কোটি প্রবাসিকে অধিকার বঞ্চিত করে কোন নির্বাচন হতে পারে না। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার এখনই সময়।

বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সময় বিকালে প্রবাসিদের ভোটাধিকার শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি মমিন মজুমদারের পরিচালনায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ দূতাবাসের কনচ্যুলার জেনারেল মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন নিউইয়র্ক প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু তাহের। এতে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতা এবং সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

মোজাম্মেল হক বলেন, প্রবাসিদের ভোটা তালিকার কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি আগামী নির্বাচনে প্রবাসিরা তাদের ভোটাধিকার পাবে।এটি তাদের দীর্ঘ দিনের দাবি। এটি তাদের মৌলিক অধিকার। বর্তমান সরকার প্রবাসিদের অন্তরিক।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসিরা নিজ দেশে থেকে ও দেশ গঠনে ভূমিকা রাখছে।তারা দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। তারা দেশে বিনিয়োগ করছে।এতে মানুষের কর্মসংস্হান হচ্ছে। তিনি প্রবাসিদের আরও বিনিয়োগের আহবান জানান।
মঞ্জুর আহমেদ বলেন, প্রবাসিদের নিয়ে কন্স্যুলার যা বলেছেন বিষয়টা এত সহজ না। ভারত পাকিস্তানসহ বিশ্বের অনেক দেশের প্রবাসিদের ভোটাধিকার রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার চাইলেই তা দিতে পারে। তবে যারা আমেরিকার প্রবাসি তাদের দেয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। যা বাংলাদেশের পার্সপোট সেলেন্ডার করে আমেরিকার পার্সপোট নিয়েছে তাদের ডুয়েল নাগরিকত্ব নিতে হবে।
ডঃ শওকত আলী বলেন,প্রবাসিদের ভোটাধিকার দেয়া এখন সময়ের দাবি।আবু সাঈদ মুদ্ধরা জীবন দিয়েছে তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ ভোটাধিকার পেতে যাচ্ছি। তাই তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করতে হবে।
প্রবন্ধকার আবু তাহের বলেন,তেশে ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৬৩৩ জন ভোটার রয়েছে। তাদের মধ্যে ১ কোটি ২৫ লাখ প্রবাসি রয়েছে। এই ১৫ শতা ভোটারকে বাদ রেখে একটি ভালো নির্বাচন হতে পারে না। এটি তাদের মৌলিক অধিকার।