মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম, প্যারিস ফ্রান্স থেকে : হাসিমুখে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ ও প্যারিসের মেয়র আন্নে ইদালগোর হাতে পৌঁছে গেল বাংলাদেশের তরুণ লেখক ও আলোকচিত্রী ফরিদ আহাম্মদ রনি-র লেখা ও চিত্রগ্রন্থ ‘প্যারিসের ছবি’। এই বইটি কেবল একটি শিল্পগ্রন্থ নয়—এটি বাংলাদেশের প্রকাশনা ইতিহাসে এক অভিনব মাইলফলক, কারণ একই সঙ্গে বাংলা, ইংরেজি ও ফরাসি—এই তিন ভাষায় প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্রগ্রন্থ।
ফ্রান্সকে বলা হয় ছবির দেশ, কবিতার দেশ। এই দেশের কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী ও ভাস্করদের সৃষ্টিকর্মে সমৃদ্ধ হয়েছে বিশ্বসাহিত্য ও শিল্পকলার ভাণ্ডার। সেই ঐতিহ্যের রূপ, রঙ ও সৌন্দর্যকে নতুনভাবে ধারণ করেছে ফরিদ আহাম্মদ রনির ‘প্যারিসের ছবি’।
বইটির প্রতিটি পৃষ্ঠা যেন এক একটি জানালা—যেখান থেকে দেখা যায় প্যারিসের ইতিহাস, সংস্কৃতি, স্থাপত্য ও শিল্পের এক নিখুঁত প্রতিচ্ছবি।

আইফেল টাওয়ারের জ্যোতি থেকে শুরু করে লুভর মিউজিয়ামের মহিমা, মনোমুগ্ধকর রাস্তার শিল্পকলা থেকে বিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর্যের নান্দনিকতা—সবকিছুই ধরা পড়েছে রনির অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি ও ক্যামেরায়। ‘প্যারিসের ছবি’ শুধু একটি ফটোবুক নয়, বরং এক নান্দনিক যাত্রা, যেখানে শব্দ, রং ও অনুভূতির এক অসাধারণ মেলবন্ধন ঘটেছে।
প্যারিসকে বলা হয় প্রেমের শহর, কবিতার শহর ও শিল্পের শহর। সেই শহরের মায়া, আলো, ইতিহাস ও মানবিক সৌন্দর্যকে একত্রে বুনে তৈরি হয়েছে এই চিত্রগ্রন্থ।
বাংলাদেশের একজন শিল্পীর চোখে প্যারিসের এমন অনুবাদ পাঠককে শুধু মুগ্ধই করবে না, বরং অনুপ্রেরণাও জোগাবে সংস্কৃতি ও শিল্পচর্চায়।
‘প্যারিসের ছবি’ এখন কেবল শিল্পপ্রেমীদের নয়, প্রতিটি সংস্কৃতিমনস্ক পাঠকের সংগ্রহে রাখার মতো এক অসাধারণ সৃষ্টি।