মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম ফ্রারিস, ফ্রান্স থেকে ; ইউনেস্কোর ৪৩তম সাধারণ সম্মেলনের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় প্যারিসে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সংবর্ধিত হয়েছেন ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা। ফ্রান্সের সর্বস্তরের বাংলাদেশি কমিউনিটির উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলের বলরুমে অনুষ্ঠিত হয় এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও সিনিয়র সিটিজেন এম এ তাহের। সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহবুব হোসাইন ও কমিউনিটি নেতা জাহেদুল ইসলাম শিপার।
স্বাগত বক্তব্য দেন ফ্রান্স-বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (এফবিজেএ)-এর মুখপাত্র মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহ।

সভায় রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা-কে ক্রেস্ট ও মানপত্র প্রদান করা হয়। বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি সাফল্যই জাতির সম্মিলিত অর্জন—এমন গৌরবের অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত।
সভাপতির বক্তব্যে এম এ তাহের বলেন, দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা আজ গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের এই সাফল্য উদযাপন করছি। প্রবাসীরা দেশের অগ্রযাত্রায় সবসময় পাশে থাকবে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান ওয়ালিদ বিন কাশেম বলেন, ইউনেস্কোতে টানা সাতটি নির্বাচনে বাংলাদেশের জয় কেবল কূটনৈতিক নয়, এটি আমাদের জাতীয় সক্ষমতার প্রতিফলন।
সংবর্ধিত অতিথি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা আবেগভরে বলেন, বাংলাদেশ কমিউনিটির এমন ভালোবাসায় আমি অভিভূত। দেশ মাতৃকার পতাকা সমুন্নত রাখাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, জাপানের মতো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীকে ইউনেস্কোর সাধারণ পরিষদের নির্বাচনে পরাজিত করা সহজ ছিল না। কিন্তু ফ্রান্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা ও সাংস্কৃতিক উপদেষ্টাসহ সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। এই অর্জন পুরো বাংলাদেশের।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিফেন্স এটাচি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান মোল্লা (এনডিসি, পিএসসি), মিশন উপপ্রধান কাজী এহসানুল হক, মিনিস্টার (কমার্শিয়াল) মিজানুর রহমান, দ্বিতীয় সচিব কে এফ এম শারহাদ শাকিলসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা।
স্থানীয় কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও সংগঠকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সিটিজেন ও ব্যবসায়ী এইচ এম রহিম, বাংলাদেশ নাগরিক পরিষদের সভাপতি আবুল খায়ের লস্কর, কমিউনিটি নেতা জুনেদ আহমেদ, ব্যবসায়ী এম এ রশীদ পাটোয়ারী, যুব নেতা আহমেদ আব্দুল মালেক, সুন্দরবন কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম মিয়া, বাংলাদেশ নাগরিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদ, তরুণ চিন্তক ও এক্টিভিস্ট মনোয়ার হোসেন, যুব নেতা জাকারিয়া আহমেদ, নাজির উদ্দিন জোসি, শিল্পী শাহানা বেগম ও এক্টিভিস্ট কাওছার আহমেদ।
মানপত্র পাঠ করেন সাংবাদিক ও এফবিজেএ সদস্য তানভীর আহমেদ তোহা।
কমিউনিটি থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী নেতা শহিদুল ইসলাম, এক্টিভিস্ট খালেদ মাহমুদ, যুব নেতা লায়েক আহমেদ তালুকদার, সংগঠক কুতুব উদ্দিন জিকু, আরাফাত রহমান ও আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ।
আয়োজকেরা জানান, বাংলাদেশের এই আন্তর্জাতিক সাফল্য আমাদের অনুপ্রেরণা৷ এমন অর্জনই প্রবাসে বাংলাদেশের মর্যাদা আরও উজ্জ্বল করবে এবং ভবিষ্যতের পথচলাকে দেবে নতুন গতি