নিউইয়র্ক থেকে এইচ এম আকতার : ইসলামি সংস্কৃতির আকাশে অপসংস্কৃতির কালো মেঘের ঘনঘটা। তাই অপসংস্কৃতি প্রতিরোধে ইসলামি সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে। তা না হলে আমাদের সন্তানরা হারিয়ে যাবে।

গত সোমবার বিকেলে মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকা ( মুনা) নিউইয়র্ক সাউথ জোনের ব্রুকলিন সাউথ চ্যাপ্টার আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক সাউথ জোনের সভাপতি মাওলানা এমদাদ উল্লাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মুনা স্যোশাল সার্ভিসের এসিস্টেন্ট ডাইরেক্টর মোশাররফ মাওলা সুজন, কুরআন একাডেমির এসিস্টেন্ট ডাইরেক্টর হাসান সোহরাওয়ার্দী দুলাল প্রমুখ। ইমাম জোনায়েদের কুরআন তেলওয়াত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জোনের মিডিয়া বিভাগের ডাইরেক্টর আমিনুর রসুল জামশেদ।

মাওলানা এমদাদ উল্লাহ বলেন, ইসলামি সংস্কৃতির মুল উৎস হলো আল কুরআন এবং রাসুল সাঃ এর জীবন আচার। ইসলামি সংস্কৃতি যদি আমরা আমাদের সন্তানদের দিতে না পারি, তা হলে তারা হারিয়ে যাবে। ইসলামি সংস্কৃতির সাথে সাধারণ সংস্কৃতির পার্থক্য হলো, ইসলামি সংস্কৃতি মানুষকে জান্নাতের পথ দেখায়। আর সাধারণ সংস্কৃতি মানুষকে জাহান্নামের পথ দেখায়। এসময় তিনি আগামী আগস্ট মাসের ৮,৯,১০ তারিখে মুনার কনভেনশনে সবাইকে অংশ গ্রহনের আহবান জানান।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কনভেনার মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, আমাদের সংস্কৃতির মূল হলো কুরআন। কিন্তু আমরা তার থেকে অনেক দুরে সরে গেছি। তাই আমাদের সংসার জীবনে অশান্তি বিরাজ করছে। আমাদের ইসলামি ধারার সাংস্কৃতিতে ফিরে আসতে হবে।
হাসান সোহরাওয়ার্দী দুলাল বলেন, আমেরিকাতে আমাদের কোন মুসলিম নেতা নেই। একারণে আমরা জাতি হিসেবে পিছিয়ে পড়ছি। এদেশে প্রায় ৮০ লাখ মুসলমান বসবাস করে। এদের মধ্যে ৩০ শতাংশ ছেলে মেয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। তাদের নাম শুধু মুসলিম। কিন্তু তারা এখন খৃস্টান। তাই আমাদের কুরআন এর সাথে সম্পর্ক বাড়াতে হবে। কুরআন একাডেমিতে আমাদের ছেলে মেয়েদের পড়াতে হবে।