অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি শিক্ষকদের সকল যৌক্তিক দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করীম। বাআশিফের দিনাজপুর জেলার সভাপতি অধ্যক্ষ মো: মশিউর রহমান উক্ত সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন।
শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল ৯:৩০ মিনিটে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন দিনাজপুর জেলার উদ্দ্যোগে এক শিক্ষক প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করীম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১ বছর পার হয়ে গেলেও আমরা লক্ষ্য করছি যে, দেশের শিক্ষা খাত এখনো দৃশ্যমান কোনো মৌলিক সংস্কার করেনি। শিক্ষা খাতে বৈষম্য, অবহেলা ও বিশৃঙ্খলা অনেকাংশে পূর্বের ন্যায়ই বহাল রয়েছে। এই নতুন বাংলাদেশেও শিক্ষকদের প্রতি অব্যাহত বঞ্চনা, স্বীকৃতিহীনতা, প্রায় বেতনহীন চাকরি, মূল্যায়নের অভাব এবং প্রশাসনের গড়িমসি গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, বর্তমানে শিক্ষা খাতের যে সংকট, তা জাতীয় জীবনের ভিত্তি ও আদর্শ বিনষ্ট করছে। ফ্যাসিবাদের তৈরী শিক্ষাব্যবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হলেও বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে এখনো ঈমান আকিদা বিরোধী, নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধহীন প্রজন্ম তৈরির বিষয়বস্তু রয়ে গেছে। বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন দীর্ঘদিন ধরে একটি গঠনমূলক ও অংশগ্রহনমূলক শিক্ষা সংস্কার দাবি করে আসছে এবং শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবী-দাওয়া উত্থাপন করে আসছে। কিন্তু বর্তমানে উক্ত দাবীগুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারে অন্তর্বতীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ আমরা দেখছি না।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে অন্তর্বতীকালীন সরকার নির্বাচনের জন্য আগামী ২৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসকে নির্ধারণ করেছেন। সে হিসেবে আর ৬ মাস আমাদের সামনে আছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা আহবান জানাই এই ছয় মাসের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া মেনে নিন। নতুবা শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া আদায়ে আন্দোলনে করতে বাধ্য হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সদস্য অধ্যাপক মো: আতাউর রহমান, দিনাজপুর জেলার শিক্ষা সংগঠক ও উপদেষ্টা রাজিবুর রহমান পলাশ। এছাড়াও উক্ত শিক্ষক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ৭/৯ টি শিক্ষক পরিষদের সভাপতি, সেক্রেটারিসহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।