প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন ‘ডাকাতের গ্রাম’ থেকে মানুষের জনপদ হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজের ফেরিফয়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ওই মন্তব্য করে ঢাবি ছাত্রশিবিরের এই সাবেক সভাপতি।

মুহূর্তেই ভাইরাল হওয়া ওই পোস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্র বলেন-

‘ইসলামোফোবিক সেকুলাররা বলতে চাইতেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটা মাদ্রাসা হয়ে উঠতেছে।

আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ডাকাতদের গ্রাম’ থেকে মানুষের জনপদ হয়ে উঠতেছে।

বাঙালি মুসলমান কৃষকের সন্তানদের জনপদ, যাদের পূর্বপুরুষরা ১৯১১ সালে ‘বঙ্গভঙ্গ রদ’ হওয়ার কারণে মনে কষ্ট পেয়েছিল।

ব্রিটিশ আর কলকাতার কলোনিয়াল হ্যাংওভার কাটাইয়া এই জেনারেশান এখন ঘরে ফেরা শুরু করছে। সামনে ঈদের দিন আসবে ইনশাল্লাহ।’

এর আগে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা কবি, কবি আল মাহমুদ শেখ হাসিনার আমলে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি ডাকাতদের গ্রাম? এ বিষয়ে কবিতাও লিখেন...

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি ডাকাতদের গ্রাম? -আল মাহমুদ এই মহানগরীর ভদ্রবেশী বেশ্যা, লম্পট, হিরোইনসেবী ও ছিনতাইকারীর প্রাত্যহিক পাপের দেনায় 'আমরা এমনিতেই অতিষ্ঠ, এর সাথে যোগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহান পণ্ডিতেরা।

শিক্ষার প্রতিটি প্রাঙ্গণ কিশোর হত্যার মহাপাপে এখন রক্তাক্ত, পঙ্কিল। প্রকৃত পাপীদের বিনাশ ত্বরান্বিত করতে তুমি কি বাংলাদেশের প্রতিটি বিদ্যাপীঠকেই বিরাণ করে ফেলবে?

এমনিতেই গ্রামে গ্রামে ধসে পড়া স্কুলবাড়িগুলোর ভেতর থেকে শেয়াল আর পেঁচার ডাকে প্রাইমারি স্কুলের আবু মাস্টারের ঘুম নেই তার ওপর তারই একমাত্র শহুরে পড়ুয়া মেয়েটির গলার চেন ও হাতের বালা জগন্নাথ হলের পাশের রাস্তা থেকে ছিনতাই হলো। বুকের ওপর ছুরি রেখে খুলে দে হারামজাদী, চুপ্।

আমরা তো চুপ করেই আছি, তবু হে পরোয়ারদিগার জানতে সাধ জাগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি ডাকাতদের গ্রাম?

বাল্যে যেমন কোনো গাঁয়ের পাশ দিয়ে নাও বেয়ে ফিরতে গেলে মুরুব্বীরা বলতেন, ওপথে যেও না অমুকটা হলো ডাকাতের গ্রাম।

প্রভু

ডাকাত, ছিনতাইকারী, পন্ডিত ও বেশ্যাদের হাত থেকে তুমি কি ইলমকে রক্ষা করবে না? -রাব্বি যিদনী ইলমা- প্রভু, আমাদের জ্ঞানদান করো।

[আল মাহমুদ, 'কদর রাত্রের প্রার্থনা'(অংশ বিশেষ)] কবির এই প্রশ্ন দেশের অনেক মানুষেরও প্রশ্ন।