জনপ্রিয় কার্টুনিস্ট সৈয়দ রাশাদ ইমাম তন্ময় একটা সময়ে তিনি আওয়ামী লীগের প্রোপাগান্ডা সেল সিআরআই এর সাথে কাজ করতেন।
এ বিষয়ে তুলে ধরেন আলী আহমেদ মাবরুর। তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন দীপ্ত টিভিতে একটি প্রোগ্রাম দেখলাম। অনুষ্ঠানটির নাম ৩৬ জুলাই: সময়ের তরুণদের গল্প। এখানে একজন অংশগ্রহণকারীকে দেখে বেশ অবাক হলাম। তিনি জনপ্রিয় কার্টুনিস্ট। নাম সৈয়দ রাশাদ ইমাম তন্ময়। দেখে অবাক হয়েছিলাম কারণ আমার জানামতে, একটা সময়ে তিনি আওয়ামী লীগের প্রোপাগান্ডা সেল সিআরআই এর সাথে কাজ করতেন।
আলী আহমেদ মাবরুরের ফেসবুক পোস্টে হুবুহু তুলে ধরা হলো.....
গুগলে তার নাম দিয়ে সার্চ দিয়েও এরকমই তথ্য পেলাম। সেখানে লেখা আছে, সৈয়দ রাশাদ ইমাম "মুজিব" গ্রাফিক নভেল সিরিজের চিত্রকর। এই সিরিজে তিনি বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে কাজ করেছেন। গুগল আরো জানালো-
রাশাদ ইমাম তন্ময় মূলত একজন গ্রাফিক নভেল শিল্পী এবং তিনি "মুজিব" গ্রাফিক নভেল সিরিজের চিত্রণ করেছেন। এই সিরিজটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত। "মুজিব" গ্রাফিক নভেল সিরিজে, প্রথম খণ্ডটি বঙ্গবন্ধুর "অসমাপ্ত আত্মজীবনী" অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়াও, "মুজিব" সিরিজের অন্যান্য খণ্ডগুলোতেও বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে, যেমন "খাজার কারসাজি", যেখানে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের একটি বিশেষ দিক চিত্রিত হয়েছে। এই গ্রাফিক নভেলগুলো বাংলাদেশের ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও সংগ্রামী জীবন সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে জানতে সাহায্য করে।
তার আলোচনা শুনলাম। শুনে বুঝলাম, ২০১৮ সালের নির্বাচনের ভয়াবহ কারচুপি নিয়ে তিনি একটি কার্টুন এঁকেছিলেন। যা তখনকার সময়ের সংবাদপত্র ছাপায়নি। মূলত তখন থেকেই তিনি ব্যক্তিগত প্রোফাইলে আওয়ামী লীগ বিরোধী কার্টুন দিতে শুরু করেন। জুলাইয়ের আন্দোলনের সময় ছাত্ররা তার সাথে যোগাযোগ করে কার্টুন দেয়ার অনুরোধ করে আর তখন তিনি তাদের সাথে মিলে কাজ করেন। সেই হিসেবে তিনি এখন জুলাই যোদ্ধা।
প্রশ্ন হলো, একটি সময়ে তিনি আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন। এ জন্য তিনি এখন জুলাই যোদ্ধা হতে পারবেন কিনা? তার এই ট্রানজিশনকে কীভাবে মুল্যায়ন করা হবে? সুবিধাবাদীর মতো অবস্থান পরিবর্তন নাকি বোধোদয়? তিনি নিজে কি শেখ মুজিবকে নিয়ে তার কাজগুলোকে ভুল মনে করেন? যদি না করেন তাহলে তিনিই বা কীভাবে জুলাইয়ের সাথে নিজেকে একাত্ম করতে পারছেন?
জুলাইয়ের পর থেকে নানা জনের ব্যাপারে আমরা সেইম সিচুয়েশনই ফেইস করে যাচ্ছি। নানা জনের এই ট্রানজিশন এবং নানা মহলের সাথে তাদের যোগাযোগের কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া যাচ্ছে না; অথচ অতীতে তাদের নানা কর্মকান্ডের কারণে নিজেদের মধ্যে অস্বস্তিও কাজ করছে।