আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী আচরণ এবং জামায়াত-শিবিরের প্রতি নিপীড়ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কঠোর সমালোচনা করেছেন মির্জা গালিব।

তিনি বলেন, অতীতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে যেভাবে সিস্টেমেটিকভাবে লিকুইডেট করা হয়েছে, তা ছিল মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে মির্জা গালিব এ সব লেখেন।

মির্জা গালিব লেখেন, ‘আওয়ামীলীগের ফ্যাসিবাদি সময়ে জামায়াত-শিবিরকে সিস্টেমেটিক ভাবে ভিলিফাই করা হয়েছিল। মিথ্যার সাথে আরো মিথ্যা মিশায়ে একধরনের ফিকশান বানানো হয়েছিল। দুঃখজনক হইল, অনেকে এখনও একই কাজ করতে চাইতেছেন।

গতকালকে জিটিভির এক টকশোতে আমার একজন সহ-আলোচক বললেন, সিরাজগঞ্জ জামায়াতের সেক্রেটারি নাকি বলছেন, "আওয়ামীলীগের পালিয়ে যাওয়া লোকদের স্ত্রীদের উপর জামায়াতের হক আছে"। আজকে সিরাজগঞ্জ জামায়াতের সেক্রেটারি আমাকে ফোন দিয়ে জানাইলেন, এই রকম কোন কথা উনি বলেন নাই। আমি একটা ভিডিওতে দেখলাম উনি বরং বলেছেন, 'আওয়ামীলীগের সাধারণ ভোটাররা ৫ ই আগস্টের পরে আমাদের দ্বারা কোন ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হন নাই, এই জন্য তারা আমাদের ভোট দিতে পারে"। এখন যিনি অভিযোগ করছেন যে সিরাজগঞ্জ জামায়াতের সেক্রেটারি ওই কথা বলছেন, তার প্রমাণ হাজির করা উচিত। আর যদি যাচাই বাছাই ছাড়া ফেইসবুকে ফটোকার্ড দেখে ভুলকরে এইরকম অভিযোগ করে থাকেন, তাহলে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

আজকে চ্যানেল ২৪ এর আরেকটা টকশোতে বিএনপি চেয়ারপারসনের একজন উপদেষ্টা জামায়াতের সমালোচনা করতে গিয়ে বললেন, জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা হলে শিবিরের যে পরিমাণ অস্ত্র আছে, সেইটা দিয়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় দখল করা যাবে। অথচ, আমি খালেদ মহিউদ্দিনের সাথে এক টকশোতে মাসুদ ভাইকে বলতে শুনছি, এই কথা শিবিরের ব্যাপারে অন্যরা বলে বেড়াইত, উনি সেইটা কোট করেছিলেন মাত্র।

এক রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা আরেক রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করবে- এইটা স্বাভাবিক। কিন্তু সমালোচনা করতে গিয়ে ইচ্ছা করে মিথ্যা কথা বলবে, প্রপাগান্ডা করবে - এইটা অগ্রহনযোগ্য। মিথ্যা কথা বলে, প্রোপাগান্ডা করে যদি কাউকে থামায়ে রাখা যাইত, তাইলে তো আওয়ামীলীগই ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকত।’