ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সহাবস্থান নিশ্চিত করতে ইসলামি শিক্ষার যথাযথ অনুসরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মির্জা গালিব।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এই মতামত প্রকাশ করেন।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, এক. ইসলাম তাওহীদবাদী ধর্ম। এর পাশাপাশি ইসলাম তার স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করতে চায়। এই জন্য সাধারণত অন্য ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মুসলমানদের অংশগ্রহণ করা জায়েয নয়। আর যদি সেই ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইসলামের তাওহীদের ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, তাহলে তা আরও বেশি জায়েয নয়।
দুই. এই স্বাতন্ত্র্য ও ধর্মতাত্ত্বিক মতপার্থক্য থাকার পরও অন্যান্য ধর্মের মানুষের তাদের নিজস্ব ধর্ম পালন করার পূর্ণ স্বাধীনতা ইসলামের নীতির মধ্যেই আছে। ফলে মুসলমানদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে খারাপ লাগলেও, আল্লাহর সঙ্গে কুফর করা এবং শিরক করা যদি অন্য ধর্মের ধর্মীয় নীতি হয়, তবে তাতে বাধা প্রধান করা ইসলামে বৈধ নয়।
তিন. ধর্মের ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের মানুষ ভিন্ন ভিন্ন বিষয় বিশ্বাস করে। একজনের কাছে যেটা ঠিক, আরেকজনের কাছে সেটা ভুল। আমরা যেটাকে শিরক মনে করি, হিন্দু ধর্মের লোকেরা সেটাকেই ইবাদত বলে মনে করে এবং নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে। এই মতপার্থক্য নিয়েই আমরা একসঙ্গে সমাজে বসবাস করি। যেখানে ধর্মীয় মতপার্থক্য নেই, সেই ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে অংশগ্রহণ করি। আর যেখানে ধর্মীয় মতপার্থক্য আছে, সেখানে দূরত্ব বজায় রাখি।
চার. আমরা এমন একটি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা চাই, যেখানে হিন্দু ধর্মের ভাইবোনেরা তাদের ধর্ম আনন্দ ও নিরাপত্তার সঙ্গে পালন করতে পারবে। তাদের কমিউনিটি এই উৎসব আয়োজন করবে। যতটুকু রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা ও সাহায্য প্রয়োজন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে রাষ্ট্র/সরকার সেটি প্রদান করবে।
পাঁচ. এই সহাবস্থান, নিরাপত্তা ও কল্যাণ কামনাই ইসলাম। আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের জায়গা থেকে পূজার অনুষ্ঠানের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা এবং একই সঙ্গে তাদের জন্য তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা—এই দুইয়ের ভারসাম্য রক্ষা করাই মুসলমান হিসেবে আমাদের কর্তব্য।