সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সংবাদ সম্মেলনে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের অবমাননাকর’ প্রশ্ন করার জেরে দুটি টেলিভিশন চ্যানেলের তিনজন সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন। এর মধ্যে দীপ্ত টিভির দুইজন এবং এটিএন বাংলার একজন সাংবাদিক রয়েছেন। দীপ্ত টিভির সংবাদ প্রচারও বন্ধ রয়েছে। এছাড়া চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ তাদের একজন সাংবাদিককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
চাকরিচ্যুত সাংবাদিকরা হলেন- দীপ্ত টেলিভিশনের মিজানুর রহমান, মাহমুদ শাওন এবং এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি মো. ফজলে রাব্বি।
এছাড়া চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ এক ফেসবুক বার্তায় জানায়, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলনে অপেশাদার আচরণ করায় সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দীপ্ত টিভির এক স্ক্রলে বলা হয়— ‘অনিবার্য কারণবশত দীপ্ত টিভির সকল সংবাদ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলো।’ একইসঙ্গে দীপ্ত টিভির একজন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা জানা যায়নি।
এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি মো. ফজলে রাব্বিকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান সই করা অব্যাহতির চিঠিতে বলা হয়— আপনি রিপোটিংয়ের ক্ষেত্রে যথাযথ পেশাগত দায়িত্ব পালন না করায় আপনাকে ২৯ এপ্রিল থেকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো।
ওদিকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, এক সাংবাদিক গণহত্যার পক্ষ নিয়ে প্রশ্ন করার প্রেক্ষিতে দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম তারা নিজেরাই বন্ধ করে দিয়েছে, সরকার এখানে কিছু বলেনি, কাউকে কলও দেওয়া হয়নি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বাস্তবতা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, 'মন্ত্রিত্বের ৬ মাসে কাউকে আমরা কল দেইনি। দীপ্ত টিভির সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং সংবাদ বিভাগ বন্ধ করা হয়েছে। এখন মানুষ ভাববে- এটা সরকার করেছে।'