গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। আগামীকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে আয়োজিত এই সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের জন্য পাঁচটি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) আয়োজক সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব দিকনির্দেশনার কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ২টায় বাংলামোটর, কাকরাইল মোড়, জিরো পয়েন্ট, বখশীবাজার ও নীলক্ষেত মোড় থেকে সমাবেশ অভিমুখে পদযাত্রা শুরু হবে। অংশগ্রহণকারীরা নিজ নিজ পয়েন্ট থেকে নির্ধারিত পথে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করবেন।
দুপুর ২টায় ৫টি পয়েন্ট থেকে মার্চ শুরু করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণোজমায়েতের সময় বিকাল ৩টা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমূখে মার্চ ফর গাজায় আগতদের জন্য গেট ও রাস্তা ব্যবহারের নির্দেশনা
মার্চ এর পথ নির্দেশনাঃ
স্টার্টিং পয়েন্ট ১। বাংলামোটর - প্রবেশ পথঃ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা গেইট (শাহবাগ হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ২। কাকরাইল মোড় - প্রবেশপথঃ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেইট (মৎস ভবন হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৩। জিরো পয়েন্ট- প্রবেশ পথঃ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (দোয়েল চত্বর হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৪। বখশীবাজার মোড় - প্রবেশপথঃ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (শহীদ মিনার হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৫। নীলক্ষেত মোড় - প্রবেশ পথঃ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি এস সি গেইট (ভিসি চত্বর হয়ে)
বিশেষ নির্দেশনাসমূহ:
- টিএসসি মেট্রো স্টেশন ঐ দিন বন্ধ থাকবে।
- সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য সকল রাস্তা বিশেষভাবে উন্মুক্ত থাকবে। পরীক্ষার্থীদেরকে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়া এবং যেকোনো প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা নেয়ার অনুরোধ রইলো।
সাধারণ দিক নির্দেশনাঃ
১. অংশগ্রহণকারীরা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখবেন এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
২. যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
৩. রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন, সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করুন। শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
৪. দুষ্কৃতিকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থাকুন। প্রতিরোধ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা গ্রহণ করুন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আসুন, আমরা সবাই একত্রিত হই—মানবতার পক্ষে, মজলুমের পাশে। পরিবার, বন্ধু ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করুন। আগামী প্রজন্মকে জানান ফিলিস্তিনের মানুষের যন্ত্রণার কথা, যাতে তারা শিখে কীভাবে মানবতা ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে হয়।