সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবকে চ্যালেঞ্জ করে পরাজিত ফ্যাসিবাদের দোসররা ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি পুড়িয়ে দিয়েছে'। ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ যারা পুড়িয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সিলেট সার্কিট হাউজে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ হবে এসব অপকর্মের মুখ্য জবাব। এবার আমরা সবাই একত্রির হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে চাচ্ছি, যা ফ্যাসিবাদের দোসরদের ভালো না লাগার কারণ হতে পারে। এবছর ২৮টি জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে নববর্ষের র্যালি হবে। যেখানে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের স্বড়যন্ত্র মোকাবেলা করা হবে।
ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করে পহেলা বৈশাখে নববর্ষের র্যালি যাতে শান্তিপূর্ণ হয় সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
এ সময় মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী বলেন, যারা চায় না ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ থাকুক এটি তাদের কাজ।
ইতোমধ্যে পুলিশ কাজ করছে, দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। দুষ্কৃতকারীদের সতর্ক করে উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সরকার তার স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছে। শনিবার ভোরে ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি আগুনে পুড়ে যায়। ঘটনার প্রেক্ষিতে সিলেটে সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকায় ফিরছেন জানিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, এবার সকল ধর্ম, জাতি নির্বিশেষে সবার সমন্বয়ে বিশাল আয়োজন হচ্ছে শুধুমাত্র বৈশাখকে কেন্দ্র করে, যাতে দেশকে নতুনভাবে চিনবে মানুষ।
তিনি আরো বলেন, দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই, আমরা সবাই এক হয়ে উৎসব পালন করতে চেয়েছি। কিন্তু ফ্যাসিবাদের দোসরদের ভালো লাগেনি। তারা আমাদের ঐক্যে বাধা দিতে চায়, তাই আমরা সবাই এক হয়ে উৎসব পালন করব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. শাহরিয়ার আলম
প্রমুখ।