সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত বিবিধ সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। যা সেনাবাহিনীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সংস্থাটি বলছে, সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এসব নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি। তাছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো দায়িত্বে সম্পৃক্ত হবার সুযোগ নেই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মনে করে, বিদ্যমান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনসমূহ একটি শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সকলের জন্য শুভকামনা রইল।

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দিনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ডাকসু নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গণনার সময় ভোটকেন্দ্রেও থাকবেন সেনাসদস্যরা। পরে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এ তথ্য জানান।

এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসে তিন দিন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব এ কে এম রাশিদুল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। এই নির্বাচন দুটিতে এমন সিদ্ধান্ত জানানোর পর আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে আজ আইএসপিআর থেকে এক বিবৃতি দিয়ে সেনাবাহিনী তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।