দেশে নারী ও যুবদের ওপর সহিংসতা, সড়কে যৌন হয়রানি, ছিনতাই ও অপহরণের মতো ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। বিশেষ করে শহরের কর্মজীবী নারী ও শিক্ষার্থীরা পড়ছেন নানামুখী নিরাপত্তা ঝুঁকিতে। এ বাস্তবতায় আত্মরক্ষার মৌলিক কৌশল শেখার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি অনুভূত হচ্ছে।

এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় শুরু করতে যাচ্ছে নতুন একটি প্রকল্প—‘যুবদের আত্মরক্ষামূলক মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রকল্প’। দেশের ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৮ হাজার ৮৫০ জন যুবক-যুবতীকে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

প্রকল্পের মূল দিকনির্দেশনা:

প্রকল্পের মেয়াদ: আগস্ট ২০২৫ থেকে ডিসেম্বর ২০২৭

লক্ষ্য: ৮,৮৫০ প্রশিক্ষণার্থী (যার মধ্যে ৮,২৫০ জন যুবক, ৬০০ জন যুবতী)

বাজেট: ২৭ কোটি ৯৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকা

বাস্তবায়নকারী সংস্থা: বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)

এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবকদের শেখানো হবে জুডো, কারাতে, শুটিং এবং তায়কোয়ান্দোর মতো আত্মরক্ষার কার্যকর কৌশল। প্রশিক্ষণার্থীরা শিখবেন হঠাৎ আক্রমণ প্রতিহত করা, শরীর ও মনের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা, আত্মবিশ্বাস অর্জনসহ শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপনের কৌশল।

সাম্প্রতিককালে দেশে সামাজিক নিরাপত্তার অভাব এবং অপরাধের মাত্রা উদ্বেগজনক। আত্মরক্ষার প্রাথমিক দক্ষতা থাকলে যেকোনো ব্যক্তি নিজেকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং সচেতনভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারে।

প্রকল্পটির উন্নয়ন প্রস্তাবনা (ডিপিপি) ১৫ জুলাই সংশোধন করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ১৫ এপ্রিল মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠালেও কিছু ত্রুটির কারণে তা ফেরত গিয়েছিল। এখন কমিশনের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে প্রকল্পটি।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা যুবসমাজকে আত্মবিশ্বাসী, শৃঙ্খলাবান ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এটি মন্ত্রণালয়ের প্রথম বড় উদ্যোগ, যার মাধ্যমে যুবক-যুবতীরা নিজেদের আত্মরক্ষায় কার্যকরভাবে দক্ষ হয়ে উঠবে।”