আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণার অন্যতম মাধ্যম ‌‘পোস্টার’ এর ব্যবহার উঠে যাচ্ছে। পোস্টারের পরিবর্তে বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। মো. সানাউল্লাহ বলেন, নির্বাচনে প্রচারণার সময় তিন সপ্তাহ থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এ সময় ইসি সচিব মো. আখতার আহমেদ ও এনআইডি ডিজি এসএম হুমায়ুন কবীর উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা- ২০২৫ এর খসড়া অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-আরপিও সংশোধন সাপেক্ষে হবে এটি। তবে সংসদ নির্বাচনের প্রচারে পোস্টার থাকছে না। বিলবোর্ড, ব্যানার, হ্যান্ডবিল ও অনলাইনে প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। বিদেশি অর্থ্যায়নে স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচারণা করা যাবে না।

তিনি বলেন, বিধিমালায় অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বা সদস্য হয়ে থাকলে, প্রার্থী হলে পদত্যাগ করতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তারা একটি কমন প্ল্যাটফর্ম করবেন, যেখানে ঐ আসনের প্রার্থীরা তাদের ইশতেহার জনগণের সামনে তুলে ধরবেন। এছাড়া প্রার্থীরা বাতিলের ক্ষেত্রে আরপিওর ৯১/ঙ আচরণ বিধিতে সন্নিবেশিত করা হয়েছে।

মো. সানাউল্লাহ বলেন, আজ সীমানা নির্ধারণের বিষয় শেষ করতে পারিনি। আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।