বাড়িভাড়া বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম। অবিলম্বে শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট আহ্বান জানান তিনি।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আন্দোলনরত শিক্ষকদের মাঝে উপস্থিত হয়ে সংহতি প্রকাশ করেন তিনি।

সংহতি জানিয়ে সাদিক কায়েম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূস নিজেই একজন শিক্ষক। তারপরও দেশে কীভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত হতে হয়। শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে জাতির ভবিষ্যত অন্ধকার।

ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, শিক্ষকরা আট দিন ধরে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে আন্দোলন করছেন। কিন্তু সরকারের এদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। অবিলম্বে শিক্ষকদের দাবি পূরণ করতে হবে। অন্যথায় আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হবো।

আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবি ন্যায্য উল্লেখ করে ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, তাদের দাবিটা কী? দাবিটা সামান্য। তাদের বেতনের ২০ শতাংশ আবাসন ভাতা আর ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা চেয়েছেন। এটা কী বেশি?

এ সময় সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিগত সময়ে যে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে সেখান থেকে ব্যবস্থা করেন। তারপর আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবি মানতে হবে।

ডাকসুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে পুলিশের এমন আচরণ আমাদের ব্যথিত করে। প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশের হামলায় রাষ্ট্র থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদেরকে অতিদ্রুত বিচারের মুখে আনতে হবে।

মুসাদ্দিক আলী বলেন, শিক্ষকদের সামান্য বেতন দেওয়া হয়। বাংলাদেশে এই শিক্ষাব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি ভঙ্গুর অবস্থা। এখানে শিক্ষকদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। সব শিক্ষকের বেতন কাঠামো আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে। আজকে ডাকসুর পক্ষ থেকে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে আমরা শিক্ষকদের দাবি আদায়ের আহ্বান জানিয়ে গেলাম।