ধর্ম উপদেষ্টাকে নিয়ে দেশের প্রতিষ্ঠিত একটি গণমাধ্যমের প্রচার করা ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের ছবি ব্যবহার করে পোস্ট করা ফটোকার্ডের শিরোনাম ছিলো- ‘‘নির্দেশনা না মেনে উপদেষ্টার সফরসঙ্গী স্ত্রী ও দুই বোন’’।
অর্থাৎ এর মাধ্যমে বোঝানো হচ্ছে, ধর্ম উপদেষ্টা সরকারি নির্দেশনা না মেনে স্ত্রী ও দুই বোনকে নিয়ে হজ পালন করেছেন। কারণ এ বছর সরকারি খরচে কাউকে হজে পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছেন খোদ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ধর্ম উপদেষ্টার ছোট বোনের স্বামী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ম বিভাগের অধ্যাপক আহমদ আলী। শনিবার (১৪ জুন) নিজের ফেসবুক পেজে তিনি এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
আহমদ আলী লেখেন, ‘‘আমার স্ত্রী মাননীয় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়ের ছোট বোন। সে হজ্জে গমন করে সম্পূর্ণ নিজস্ব খরচে। আমি তার সাথে যেতে পারছি না বলে উপদেষ্টা মহোদয়কে মাহরাম হবার কারণে তাঁকে সাথে নেওয়ার জন্য একান্ত অনুরোধ করি। উপদেষ্টা মহোদয়ের অপর বোনও একই কারণে তাঁর সাথে সম্পূর্ণ নিজস্ব খরচে হজ্জে যান। তাঁর অপর আরেক বোনও যাওয়ার কথা ছিল; কিন্তু টাকা যোগাড় করতে না পারায় যেতে পারেননি।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবে আমার স্ত্রীর আরেক বড়ো ভাই ড. সাদিক হোসেন রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত আছেন। এ ছাড়া তাদের আরও অনেক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন সেখানে আছেন। তারা সর্বক্ষণ তাদের সেবায় ও দেখাশোনায় নিয়োজিত রয়েছেন।
আমার স্ত্রী ও আপা তাঁরা যদিও মাননীয় ধর্ম উপদেষ্টার সাথে গমন করেছেন; কিন্তু তারা দুজনেই ফিরবেন তাঁর ফেরার আরও প্রায় দশ/বারো দিন পরে, ইন্ শাআল্লাহ। তারা যদি উপদেষ্টা মহোদয়ের একান্ত সফরসঙ্গী হতো, তাহলে তো তারা ফিরতোও তাঁর সাথে।
কালের কণ্ঠ পত্রিকা যেভাবে ফটোকার্ড প্রকাশ করেছে তাতে যে কারো ধারণা হতে পারে, আমার স্ত্রী, আপা ও ভাবি- সকলেই বুঝি সরকারি টাকায় এবারে হজ্জে গেছেন। অথচ নিউজের বিবরণে এ কথা বলা হয়েছে, তারা নিজস্ব খরচে হজ্জে গেছেন। পত্রিকাটির এভাবে ফটোকার্ড প্রকাশ করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে হয়!!
এটা ঠিক যে, তারা উপদেষ্টা মহোদয়ের সাথে যে কয়দিন থাকবেন, এ সুবাদে হয়তো তারা বাড়তি কিছু আদর-আপ্যায়ন পেতে পারে; কিন্তু এর পাশাপাশি তার সাথে যাবার কারণে তাদের খরচের মাত্রাও অনেক বেড়ে গেছে।
যেমন- মক্কা থেকে মদীনা, মক্কা থেকে রিয়াদ সফর- যা উপদেষ্টা মহোদয় সাথে না থাকলে তারা হয়তো সাধারণ গাড়িতে অল্প খরচে যাতায়াত করতে পারতো, এখন তাদেরকেও বুলেটট্রেন ও বিমানযোগে উচ্চ ভাড়ায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। এসব খরচ তাদের নিজেদের বহন করতে হচ্ছে।’’