গোটা দক্ষিণ এশিয়াতেই ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন এই প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে বাংলাদেশকেও সতর্ক থাকার। তাদের আশা, এই দু দেশ বড় ধরনের যুদ্ধে জড়াবে না। যৌক্তিক কারণ ছাড়া যুদ্ধ বিশ্বে গ্রহণযোগ্য হবে না।

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ২৬ জন। এরপর উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভারত ও পাকিস্তানে। পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিয়েছে দুই দেশ।

এ পরিস্থিতিতে দুই দেশকে সংযত আচরণ করতে বলেছে জাতিসংঘ। এরই মধ্যে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে উদ্বিগ্ন ঢাকাও।

ভারত, বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী হলেও কাউকে সমর্থন দেবে না অন্তর্বর্তী সরকার। দুই দেশের দ্বন্দ্বকে রাজনৈতিক কূটচালের ফসল বলছেন বিশ্লেষকেরা। তবে বড় যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন না তাঁরা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বলেন, অধিকাংশ দ্বন্দ্ব-সংঘাত ভারত-পাকিস্তান নিয়ে যা হচ্ছে, যারা এর দাবিদার নয়, এমন একটা বড় অংশ মনে করেন, এগুলো ভারতীয় পরিকল্পনা।

তারপরও রাজনীতি ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কা দেখছেন বিশ্লেষকেরা। যার খেসারত দিতে হতে পারে সার্কভুক্ত সব দেশকেই।

সাবেক রাষ্ট্রদূত এস এম রাশেদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, এতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশগুলো। যখন অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়, তখন একটা প্রভাব পড়ে। যেমন ইসরায়েল ভারতকে সাপোর্ট করছে, ইসরায়েল যেখানে ঢোকে এটা খুব বিপদজনক ব্যাপার।

ভারত-পাকিস্তান সংকটে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।