লক্ষ জনতার অশ্রুসিক্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ‘ইনকিলাব মঞ্চ’র মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজার নামাজ ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদী-কে জানাজার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে সমাহিত করা হয়েছে।

বিকেল তিনটায় হাদির লাশ বহনকারীর অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছায়। বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে হা‌দির মরদেহ ফ্রিজার ভ্যান থেকে কবর দেওয়ার উদ্দেশ্যে বের করা হয়। এরপর বিকেল ৩টা ২২ মিনিটের দিকে পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধারা তার দাফন সম্পন্ন করেন।

গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার বিজয়নগরে আততায়ির গুলিতে আহত হওয়ার পর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সেখানে আধিপত্যবাদবিরোধী বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ওসমান হাদীর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর খবরে সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে আসে।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় (মানিক মিয়া এভিনিউ) তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সরকারের উপদেষ্টা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। নামাজের ইমামতি করেন শহীদ ওসমান হাদির বড় ভাই ডা. আবু বকর সিদ্দিক। তিনি বরিশাল বাঘিয়া আল আমিন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও ঐতিহ্যবাহী গুঠিয়া জামে মসজিদের খতিব।

জানাজায় লাখ লাখ মানুষ অংশ নেন। স্মরণকালের সবচেয়ে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হল শহীদ ওসমান হাদির।

এর আগে, পরিবারের সম্মতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সিদ্ধান্তে তাকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে শায়িত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুতে শনিবার সারাদেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।

তার মৃত্যুতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মিশন শোক প্রকাশ করেছে