ইরানের পাল্টা হামলার মুখে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে ইসরায়েল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাতে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির প্রতিরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যারো ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। এতে ইরানের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিহত করার সক্ষমতা ব্যাহত হতে পারে।

প্রতিবেদনে এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এই ঘাটতির বিষয়ে গত কয়েক মাস ধরেই অবগত। তাই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা জোরদারে যুক্তরাষ্ট্র সমুদ্র, আকাশ ও স্থল—তিন দিক থেকেই অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি নিয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা অস্ত্র সংক্রান্ত কোনো তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করবে না।

এদিকে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বুধবার (১৮ জুন) দেওয়া এক এক্স-পোস্টে তিনি লিখেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ও পুলিশি কার্যক্রমে আট ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। হাজার হাজার আমেরিকান সৈন্য নিহত বা গুরুতর আহত হয়েছে। অপরদিকে, লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়াই মার্কিনদের সবচেয়ে খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল।”

শির এই বক্তব্যের আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে, যুক্তরাষ্ট্র—বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প—এই অঞ্চলের অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার উত্তেজনা এক নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ঘাটতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সম্পৃক্ততা এই সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে। মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।