দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম যৌক্তিক মাত্রায় না এলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে মোবাইল অপারেটরদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘মোবাইল অপারেটররা সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সুবিধা পেয়েও ইন্টারনেটের মূল্য কমাচ্ছে না। এবার যদি তারা সাড়া না দেয়, তাহলে সেবার মান, বকেয়া পাওনা এবং তাদের অন্যান্য সুবিধা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সরকার কঠোর হবে।’
টেলিটকের আর্থিক ও কারিগরি দুরবস্থা তুলে ধরে তিনি জানান, রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটরকে সচল রাখতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আনার চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে স্টারলিংকের পর আরও কয়েকটি স্যাটেলাইট-নির্ভর ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘আগে বাজেটে অযথা মোটা অঙ্কের টাকা বরাদ্দ দিয়ে মুখরোচক প্রকল্প দেখিয়ে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হতো। বর্তমান সরকার সেই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসেছে। এবার বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের অনুষ্ঠান বিটিআরসি কার্যালয়েই সীমিত পরিসরে আয়োজন করা হচ্ছে—সরকারি ব্যয় কমানোর জন্য।’
এদিকে, সম্প্রতি গ্রামীণফোনের সেবায় বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটে। এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, ‘বুধবার (১৪ মে) সারাদেশে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক ব্ল্যাকআউট ছিল। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে অপারেটরটির কাছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য টেলিযোগাযোগ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। সরকারি সেবার মান ও ইন্টারনেট খাতে স্বচ্ছতা আনতে সরকার আরও শক্ত অবস্থানে যাবে বলেও জানান বক্তারা।