দখলদার বাহিনীর নির্বিচার হামলায় গাজাজুড়ে নিহত নারী শিশুদের আর্তনাদে বাতাস ভারী হয়ে গেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। নতুন করে গাজায় শুরু করা হামলায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে তিন হাজার এর বেশি। এ নিয়ে গত ১৭ মাসের যুদ্ধে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে লক্ষাধিক। সেই সাথে গাজায় লাখ লাখ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) গণশক্তি সভা কর্তৃক আয়োজিত দখলদার ইসরাইলি কর্তৃক গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিরাপদ সড়ক চাই এর চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, গাজায় ১৫ জন জরুরি সেবাকর্মী হত্যার বিষয়ে ইসরাইলের সেনাবাহিনী তাদের দায় স্বীকার করেছে। তা ছাড়া গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে শিশুরা। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ১৭ হাজারেরও বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। আজ সময় এসেছে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই দখলদারদের প্রতিরোধ করতে হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণশক্তি সভার সভাপতি সাংবাদিক সাদেক রহমান। শামীম হাসনাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জনাব গোলাম সারোয়ার মিলন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য বিশিষ্ট আইনজীবী ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সাবেক উপমন্ত্রী রফিকুল হক হাফিজ।
বক্তব্যে গোলাম সরোয়ার মিলন বলেন, মুসলমানরাও ঐক্যবদ্ধ হলে ইসরাইল পালানোর পথ পাবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামির কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য বিশিষ্ট আইনজীবী ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, গাজা ও রাফাকে মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছে নেতানিয়াহু। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার দক্ষিণের রাফাহ শহরকে বাকি গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে মোরাগ করিডোর স্থাপন করেছে ইসরাইল। এটি রাফাহ শহরকে গাজার বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করবে। রাফার নারী ও শিশুরা ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবন যাপন করছে। এই ভয়ংকর ইহুদিবাদীদের কাছ থেকে গাজা ও রাফাকে রক্ষা করতে হলে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতা তাজুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতা সাখাওয়াত হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতা লিটন এরশাদ, সাবেক কর কমিশনার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ড.কাজী মনিরুজ্জামান, বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, ড. মোঃ হুমায়ুন কবির, বিশিষ্ট কলামিস্ট ক্যাপ্টেন অব. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক ছাত্রনেতা খন্দকার মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব মোহাম্মদ আবু হানিফ, নিরাপদ সড়ক চাই এর যুগ্ম সম্পাদক গনি মিয়া বাবুল, নিরাপদ সড়ক চাই এর সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, গণ মুক্তিযোটের কো চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, অধ্যাপক মেহেদী হাসান, বিশিষ্ট গবেষক আলাউদ্দিন কামরুল, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী রুহুল আমিন, আ ফ ম ইউসুফ প্রমূখ।