DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

জাতীয়

চীনের রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশ ও চীন পরস্পর পরীক্ষিত বন্ধু

যারাই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেবে চীন। তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী।

অনলাইন ডেস্ক
76405fa817e42bb5a548e89f06aa975d830cb3ac12806bef

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, প্রতিটি দেশের গণতন্ত্রের নিজস্ব ধরন আছে। আমাদেরও সেটা আছে। তবে আমাদের গণতন্ত্র জনগণের জন্য।

ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী। চলতি বছর দুই দেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ লক্ষ্যে আমরা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও বাড়াতে চাই।

গতকাল মঙ্গলবার ( ১১ মার্চ ) রাজধানীর হোটেল শেরাটনে ‘বাংলাদেশে চীনের জাতীয় ভাবমূর্তি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস (সিএ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ইয়াও ওয়েন বলেন, যারাই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেবে চীন। তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফর প্রসঙ্গে জানতে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও চীন পরস্পর পরীক্ষিত বন্ধু। ঐতিহ্যগতভাবেই সব দেশের সরকারপ্রধানকে চীন সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে সুনির্দিষ্ট সরকার নয়, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাই চীনের নীতি। একইভাবে চীনের জনগণও বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল আলোচনার ভিত্তিতে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠবে বলে আশা রাখি। চীনা রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ছাড়া আর কোনো সমাধান নেই। চীন এই সংকট সমাধানে মিয়ানমারের সরকার ও এথনিক গ্রুপের সঙ্গে কাজ করছে। সংকটের সমাধানে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সম্প্রদায়েরও যৌথ প্রচেষ্টা থাকতে হবে।

আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর অল্টারনেটিভসের (সিএ) নির্বাহী পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।

জরিপ প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, ৫ হাজার ৩৩৫ জন জরিপে অংশ নিয়েছেন। জরিপে ৬০ শতাংশ লোক মনে করেন, চীনের বৈশ্বিক রাজনীতি উন্নয়নকেন্দ্রিক। জরিপে উঠে এসেছে, উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশিদের মধ্যে ২৫ শতাংশ লোকের প্রথমেই মনে আসে চীনের কথা। আর ৫৩ শতাংশ লোক চীনে গিয়ে চিকিৎসা নিতে আগ্রহী। বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতার নামে চীনা ঋণের ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ৪২ শতাংশ লোক মনে করেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন সামান্যমাত্রায় কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির প্রাক্তন রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস বলেন, যারা চীনের প্রতি আগ্রহী, তাদের এই জরিপ খুব কাজে লাগবে। জরিপে বাংলাদেশ-চীনের দ্বিপক্ষীয় কূটনীতি, রাজনীতি, বাণিজ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সকল বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আমাদের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার চীন। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি বাড়াতে হবে। তবে দুই দেশের মধ্যে ভাষাশিক্ষা বাড়ানো প্রয়োজন বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।