প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, জুলাই মাসের গণহত্যা মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বিষয়ে বাংলাদেশের অনুরোধ ভারত পর্যালোচনা করছে। তবে তার মতে, প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি আসাদুজ্জামান খান কামালকে দিয়ে।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা উল্লেখ করেন।

স্ট্যাটাসে শফিকুল আলম আরও লেখেন, তিনি বিশ্বাস করেন—জুলাইয়ের সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের একসময় বাংলাদেশের আদালতের সম্মুখীন হতে হবে। তার দাবি অনুযায়ী, ভারত ইতোমধ্যে হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ খতিয়ে দেখছে।

প্রেস সচিব লিখেছেন, আমরা জানি, হাসিনার শক্তিশালী সমর্থক রয়েছে। তবুও আমি ক্রমেই আরও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে শুরু করেছি যে আসাদুজ্জামান খান কামাল যিনি ঢাকার কসাই হিসেবে পরিচিত। খুব শিগগির বিচারের মুখোমুখি হতে বাংলাদেশে প্রত্যর্পিত হবেন। হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে সংঘটিত অপরাধগুলো সম্পর্কে যতদিন যাচ্ছে ততই আলো পড়ছে, এবং সেই সঙ্গে গণহত্যা ও গুমের ঘটনায় কামালের ভূমিকা বৈশ্বিক গণমাধ্যমের আরও বেশি মনোযোগ পাবে।

শফিকুল আলম আরও লেখেন,কামাল বা অন্য আওয়ামী লীগ নেতারা যত অর্থই ব্যয় করুক না কেন, চিরদিন দায় এড়ানো সম্ভব হবে না। আমরা জাতি হিসেবে যদি জুলাইয়ের গণহত্যার শিকারদের জন্য এবং হাসিনা আমলে সংঘটিত সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার নিশ্চিত করতে দৃঢ় ও মনোনিবেশ থাকতে পারি, তবে যারা এসব ঘটনার জন্য দায়ী, তাদের পক্ষে পরিণতি এড়িয়ে যাওয়া দিন দিন আরও কঠিন হয়ে উঠবে। এটি শুরু হবে কামালকে দিয়ে, এরপর একে একে…