মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতির বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি বলে জানিয়েছে সেনা সদর।

বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সেনাসদরের পিএস পরিদপ্তরের এজি শাখার পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মুস্তাফিজুর রহমান।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের মামলায় গত ২২ অক্টোবর ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

তারা এখনো চাকরিতে বহাল আছেন কি না—ব্রিফিংয়ে এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর বলেন, 'বিষয়টি আইনি ও প্রক্রিয়াগত কাঠামোর মধ্যে পড়ে। ৬ অক্টোবর প্রকাশিত আইসিটি আইনের তৃতীয় সংশোধনীতে সরকারি চাকরিতে অযোগ্যতা সংক্রান্ত বিষয়টি এসেছে।'

'এখানে কোনো আইনি জটিলতা নেই। কিন্তু ব্যাখ্যার বিষয় আছে, কারণ সংশোধনীটি নানা দিক থেকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব,' বলেন তিনি।

ব্রিফিংয়ে এই সেনা কর্মকর্তা আরও বলেন, 'এ বিষয়ে আমরা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং স্পষ্ট নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। যদি "ডিসকোয়ালিফিকেশন" বা অযোগ্যতা মানে চাকরিচ্যুতি হয়, তাহলে সেই চাকরিচ্যুতি কার্যকর করার প্রক্রিয়াটা সংশোধনীতে স্পষ্টভাবে বলা হয়নি।'