গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. মোঃ নাজমুল করিম খান বলেছেন, "কাশেম হলো আওয়ামী ফেসিস্টদের প্রতিবিপ্লবের প্রথম শহীদ। তিনি ছিলেন অন্যায়ের প্রতিবাদকারী ছাত্র। তিনি বলেন, এই পরিকল্পিত হত্যার বিচার না হলে চব্বিশের বিপ্লব ব্যর্থ হবে।"
তিনি আরও বলেন, "গত ১৫ বছর ধরে পুলিশকে জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এখন যারা জনগণের জন্য কাজ করবে, পুলিশ তাদের পক্ষে থাকবে। ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাইলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ তা প্রতিহত করবে।"
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় গাজীপুর ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে কাশেমের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সামাজিক বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জানাযাপূর্ব বক্তব্যে, গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, "মূল ফ্যাসিবাদের মাথা পালিয়ে গেলেও তাদের দোসররা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা ধ্বংসের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা জনগণ, রাজনৈতিক শক্তি, ছাত্রসমাজ ও সাংবাদিকরা মিলে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করব।
তিনি আরও বলেন, "যারা কাশেম হত্যার সাথে জড়িত, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।"
জানাজায় অংশগ্রহণ করেন— গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, গাজীপুর সদর উপজেলা ইউএনও মোঃ মামুনুর রশিদসহ জেলা প্রশাসনের ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও গাজীপুর সদর মেট্রো থানা জামায়াতের আমীর সালাহউদ্দিন আইউবী, গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মোঃ হোসেন আলী, গাজীপুর সদর মেট্রো বিএনপির সভাপতি অ্যাড. মেহেদী হাসান এলিস, টঙ্গী পশ্চিম থানার বিএনপির সভাপতি প্রভাষক বশির আহমেদ, মহানগর বিএনপির সাবেক গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন, হেফাজত নেতা মুফতি নাছির উদ্দিন, ফ্যাসিবাদবিরোধী তৃণমূল মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাড. নজরুল ইসলাম বিকি, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাশেদ, ইমতিয়াজ আহমেদ তানভীর, নয়ন দেওয়ান প্রমুখ
গাজীপুর মহানগরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের আল-হেরা ফিলিং স্টেশন এলাকায় আরেকটি জানাজা শেষে শহীদ কাশেমের লাশ দক্ষিণ কলেশ্বর এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।