আগামী জুলাই মাসের মধ্যে বহুল আলোচিত ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্ত করতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেই লক্ষ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক সংলাপে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে অংশ নিয়েছে ৩০টির বেশি রাজনৈতিক দল। সংলাপের সূচনায় এ কথা জানান কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, “হয়তো সব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পূর্ণ ঐকমত্য হবে না। কিন্তু আলোচনায় সবাইকে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে এগোতে হবে।” কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এই সংলাপ ঈদুল আজহার আগেই নির্ধারিত হলেও মূল আলোচনা আজ থেকেই শুরু হয়েছে। আলোচনা চলবে টানা তিন দিন, প্রয়োজনে সপ্তাহান্তেও।
বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ, জাতীয় গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদসহ প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। তবে আলোচনায় জামায়াতে ইসলামীর কাউকে দেখা যায়নি।
কমিশনের পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ নেন বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামানসহ অন্যান্য সদস্যরা।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ছয়টি পৃথক সংস্কার কমিশন গঠনের মাধ্যমে জাতীয় রাজনৈতিক সংস্কারে প্রথম ধাপ নেয় সরকার। কমিশনগুলো ফেব্রুয়ারিতে তাদের সুপারিশ জমা দেয়। এরপর ঐকমত্য কমিশন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে দেশের ৩৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের মতামত সংগ্রহ করে এবং ৪৫টি বৈঠকের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ের সংলাপ সম্পন্ন করে।
এখন চলছে সেই সুপারিশগুলোর ভিত্তিতে একটি জাতীয় ঐক্যমতের কাঠামো—‘জুলাই সনদ’—চূড়ান্ত করার প্রচেষ্টা। কমিশনের আশা, এই সনদ হবে ভবিষ্যৎ রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি রূপরেখা।