জাতীয়
ভোর রাতে আকস্মিক থানা-পুলিশের টহল পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অপরাধের লাগাম টানতে ‘অলআউট’ অভিযান
ছোটবড় নানা অপরাধের লাগাম টানতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ‘সাঁড়াশি অভিযান’। এই অভিযানে তালিকাভুক্ত অপরাধীসহ ছোটবড় নানা অপরাধের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
Printed Edition
তোফাজ্জল হোসাইন কামাল : ছোটবড় নানা অপরাধের লাগাম টানতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ‘সাঁড়াশি অভিযান’। এই অভিযানে তালিকাভুক্ত অপরাধীসহ ছোটবড় নানা অপরাধের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এছাড়া, বিভিন্ন মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামীদেরও আইনের আওতায় এনে দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতিতে চালানো হচ্ছে ‘অলআউট’ অভিযান। নতুন নতুন পরিকল্পনায় অভিযানিক কার্যক্রমের বাইরে সরকারের তরফ থেকে নেয়া হয়েছে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত। এসব সিদ্ধান্ত মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে এ ধরনের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসারসহ আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরাও অপরাধের লাগাম টানতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে।
এদিকে, চলতি মাসের ৮ তারিখে শুরু হওয়া যৌথবাহিনীর অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলমান থাকাবস্থায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরিকল্পিতভাবে নানা অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতিতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়ে জোরদার অভিযানের মাধ্যমে ‘অলআউট’-এ কোমর বেধেঁ নামে সরকার। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইনশৃংখলা বিষয়ক কোর কমিটির সদস্যরাসহ সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারাও মাঠের অভিযানিক কার্যক্রম পরিদর্শনে যাচ্ছেন দিনরাত সমানতালে। রাতের মাঝামাঝিতে একাধিক উপদেষ্টার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পরিদর্শনের খবর পাওয়া গেছে। জনমনে ভীতি কাটাতে পুলিশের মনোবল বাড়াতে টহল পুলিশের কার্যক্রমসহ আকস্মিকভাবে থানা পরিদর্শন করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
যৌথবাহিনীর অভিযান ডেভিল হান্টে গত ১৯ দিনে সারাদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ২৯ হাজার ৩৯৬ জনকে। এরমধ্যে বিভিন্ন মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামী ছাড়া ‘ডেভিল’ গ্রেফতার হয়েছে ১১ হাজার ৩১৩ জন।
পুলিশ সদর দফতর জানায়, অপারেশন ডেভিল হান্টে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে ৭৪৩ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ছাড়া অন্যান্য মামলায় ৯১৪ জনসহ মোট এক হাজার ৬৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ সদর দফতর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগ গতকাল জানায়, জননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ডিএমপিসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে সমন্বিত চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের তথ্য জানিয়ে ওই বিভাগ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার ৫০টি থানা এলাকায় জননিরাপত্তা বিধানে ডিএমপির ৫৫০টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি ৬৫টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করে।
এছাড়া, জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির টহল টিমের পাশাপাশি মহানগরীর বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ স্থানে সিটিটিসির ১৪টি, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) ১২টি এবং ডিএমপির সঙ্গে র্যাবের ১০টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া ডিএমপির সঙ্গে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এপিবিএন ২০টি চেকপোস্ট পরিচালনা করে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত মোট ২৫৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতিতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং সার্বিক পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে বেশকিছু সিদ্ধান্ত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটি। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে কোর কমিটির এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ হচ্ছে, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তল্লাশিচৌকি বাড়াতে হবে। অপরাধ প্রবণ এলাকায় টহল সংখ্যা বাড়ানো হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, বিজিবি সদস্যদের সমন্বয়ে যৌথবাহিনী গঠন করে টার্গেট এলাকায় জোরদার অপারেশন পরিচালনা করা হবে। রাজধানীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নৌবাহিনীর একটি অতিরিক্ত পেট্রোল এবং কিছু এলাকায় কোস্ট গার্ডের একটি অতিরিক্ত পেট্রোল নিয়োজিত থাকবে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রধান, উপ-পুলিশ কমিশনার, সেনাবাহিনীর মাঠে নিয়োজিত ব্রিগেড প্রধান ও অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তাবৃন্দ প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রে সময়ে সময়ে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করবেন। ডিএমপির পুলিশ সদস্য, বিজিবি, আনসার ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেল ক্রয় করা হবে, যাতে করে তাৎক্ষণিকভাবে অলিগলিতে টহল দিয়ে অপরাধীদের পাকড়াও করা যায়। ছিনতাইকারী ও ডাকাতরা অবস্থান করতে পারে এমন সম্ভাব্য স্থানগুলোতে কম্বাইন্ড অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে। ঢাকা শহরের বাইরে, বিশেষ করে টঙ্গি, বসিলা, কেরানীগঞ্জ এবং মুন্সিগঞ্জ এলাকায়ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক টহল বাড়ানো হবে। ৫০০ এপিবিএন সদস্য ডিএমপিতে ন্যস্ত হয়ে পুলিশের সঙ্গে কাজ করবে। থানাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের হালনাগাদ তালিকা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আইনের আওতায় আনতে তড়িৎ পদক্ষেপ নেবে। মিথ্যা, গুজব ও প্রোপাগান্ডার বিপরীতে সত্য তথ্যগুলো প্রচারে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সবসময় সতর্ক থাকার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের সবসময় সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে গতকাল বৃহস্পতিবারও ভোরে বের হন তিনি। এসময় রাজধানীর তিনি চারটি থানা (মিরপুর, দারুসসালাম, আদাবর ও মোহাম্মদপুর) পরিদর্শনকালে সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ দেন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, জনগণ যাতে নির্বিঘেœ ঘুমাতে পারে ও নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটরিং করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের অফিসারদেরও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ফোর্স ও টহলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক ও সজাগ রয়েছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে স্থাপিত চেকপোস্টগুলোও ফাংশন করছে। যৌথবাহিনীর অপারেশনও ভালোভাবে চলছে। তিনি বলেন, থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলছে। থানাসমূহ সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা দেখতেই এ পরিদর্শন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভোরের দিকে দায়িত্বে শিথিলতা দেখায়। এ সুযোগে সন্ত্রাসী ও অপরাধীরা নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকা- করার চেষ্টা করে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি তারা যেন এসময়েও সজাগ ও সতর্ক থাকে।
চলমান যৌথ অভিযান আর কতদিন চলবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, পরিস্থিতির উন্নতি হলে যৌথ অভিযান বন্ধ করা হবে। তবে অন্যান্য অভিযান চলমান থাকবে। তিনি আরও জানান, গুলশান থানায় দায়িত্বে অবহেলা করায় একজন এসআই ও একজন কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার ভোরেও তিনি ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে বের হয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন থানা ও চেকপোস্টে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। এদিন তিনি তার বারিধারা ডিওএইচএসের বাসা থেকে বের হয়ে বনানী মোড়, বিজয় সরণি (নভোথিয়েটার), মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, কলাবাগান, ইডেন কলেজ হয়ে নিউমার্কেট থানা পরিদর্শন করেন। পরে সেখান থেকে শাহবাগ মোড়, মৎস্য ভবন, মগবাজার, হাতিরঝিল, পুলিশ প্লাজা হয়ে গুলশান থানায় যান। গুলশান থানা থেকে তিনি ইউনাইটেড হাসপাতাল হয়ে বারিধারার বাসায় ফেরত আসেন। এ সময় উপদেষ্টা আশপাশের কিছু অলিগলিও ঘুরে দেখেন। পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা থানা ও চেকপোস্টে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন।
এর আগে মধ্যরাতে রাজধানীর বিজয় সরণি এলাকায় নভো থিয়েটারের সামনে প্রেস ব্রিফিং করে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে সরকার। খুব দ্রুতই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশাবাদী তিনি। ছিনতাই নিয়ে মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, এ অবস্থা থেকে দ্রুতই উত্তরণ হবে এমন আশার কথা উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেছেন, যেসব জায়গায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটছে এবং যারা ঘটায়, তাদের আটক করার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে বিজয় সরণি এলাকায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ব্রিফিংয়ে আরও ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
ব্রিফিংয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে জনগণের নিরাপত্তা বিঘিœত করার জন্য যদি কেউ চেষ্টা করে, সেটা রাজনৈতিক হোক বা নিতান্তই ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা হোক, তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। বড় ধরনের অপরাধ কমলেও ছোটখাটো অপরাধ, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা সরকার অ্যাড্রেস করছে। আশা করা যায়, খুব দ্রুতই সুফল পাওয়া যাবে। ঘটনাগুলো যথাসম্ভব কমে আসবে।
এর আগে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সাংবাদিকদের বলেন, তারা ব্যাপক অভিযান শুরু করেছেন। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের তালিকা করে অভিযান পরিচালনা করছেন। ঢাকায় মোট ৬৫টি চেকপোস্ট (তল্লাশিচৌকি) বসানো হয়েছে।
মধ্যরাতের এই ব্রিফিংয়ের আগে গত রোববার দিবাগত রাত তিনটায় নিজের বাসায় সাংবাদিকদের ডেকে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেদিন তিনি বলেছিলেন, সোমবার থেকে যেন কোথাও কোনো অপরাধ না ঘটে, তারা সে ব্যবস্থা নেবেন। আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি এই নির্দেশনা কার্যকর না করতে পারে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনে দিনে আরও উন্নত হবে। অবনতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।