আগামী ২৬ মার্চ চার দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রোগ্রামে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে প্রধান উপদেষ্টার এই সফরে চীনের বিনিয়োগ আনাই প্রধান ফোকাস থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁর প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গতকাল রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমীতে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর ছাড়াও নানা বিষয়ে কথা বলেন এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এসময় উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকরী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

অন্তর্র্বতী সরকার ম্যানুফেকচারিং বিপ্লব ঘটাতে চায় জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার এবারের সফরের মূল ফোকাস থাকবে বড় কোম্পানির বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা। চায়নিজ হেল্থ কেয়ারের সাথে কোলাবোরেশান চায় বাংলাদেশ। তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে যাতে তারা বাংলাদেশে এসে ব্যবসার নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধান করে। চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে চায় জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে বিনিয়োগসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বৈঠক ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রেস সচিব জানান, রোববার চীনা রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করেছেন। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর নিয়ে কথা হয়। চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিন পিংয়ের সাথে মিটিং হবে আগামী ২৮ মার্চ। সফরকালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিইওদের সাথেও বৈঠকের কথা রয়েছে। তিনি আরও জানান, এছাড়া পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্মাননা হিসেবে ডক্টরেট উপাধি পাবেন।

শফিকুল আলম জানান. প্রধান উপদেষ্টার সফরের উদ্দেশ্য চীনের ব্যবসায়ীরা যেন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়, সেই প্রচেষ্টা চালানো। শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্র্বর্তী সরকার উৎপাদনে বিপ্লব ঘটাতে চায়। এ লক্ষ্যে চীনের কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে আনার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। যাতে করে বাংলাদেশ একটা উদীয়মান উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পায়। এ লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা দ্রুত বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে। তাদের সক্ষমতা বাড়লে উৎপাদনে গতিশীলতা আসবে।

বৈঠক করবেন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে :

চীনে যাওয়া আগে পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এতে পুলিশের ১২৭ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। গতকাল প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বৈঠকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। এতে দিকনির্দেশনা দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ওই বৈঠকে দেশের সব জেলার পুলিশ সুপার (এসপি), রেঞ্জ ডিআইজি (উপ-মহাপরিদর্শক), মহানগর পুলিশ কমিশনার, সব ইউনিটের প্রধান, পুলিশ সদর দপ্তরের তিনজন ডিআইজি ও সব অতিরিক্ত আইজিপি এবং আইজিপি উপস্থিত থাকবেন। এদিন প্রধান উপদেষ্টা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দেবেন।