নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, আমি তাদের (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) ভেতরে উদ্বেগ দেখিনি বরং এটা দেখেছি যে তারা একটা ভালো ইলেকশনের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য বিদ্যমান পরিস্থিতিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘উদ্বেগজনক বলে ভাবছে না’। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ‘সহায়ক পরিবেশ’ আছে। সেটাই আরো সংহত করার জন্যই এই আলোচনা এবং এটা চলমান থাকবে।

গতকাল সোমবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনঘণ্টা ব্যাপী প্রস্তুতি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সচিব বলেন, আশঙ্কা প্রকাশ করার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। কেউ করেন নি। আমি দ্বিতীয়বার এটা বললাম, তৃতীয়বারও বলছি আশঙ্কা প্রকাশের কোন কারণ এখানে ছিল না।

আসছে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে, রোজার আগে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে। তার আগে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। স্বরাষ্ট্র সচিব, ইসি সচিবসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরাও আলোচনায় অংশ নেন। বৈঠকের একগুচ্ছ আলোচ্যবিষয় সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, ধাপে ধাপে আরও বৈঠক হবে। বিভিন্নভাবে আরও কিছু কাজ আমাদের করতে হবে পর্যায়ক্রমিকভাবে। আজকে এটা সূচনা ছিল এবং আমরা এর পরবর্তীতে ধাপে ধাপে অন্যান্যদের সাথে বা এককভাবে বা যৌথভাবে এই সমস্ত জিনিসগুলোকে আরো ফাইন টিউন করব। লক্ষ্য একটাই অবাধ সুষ্ঠ পার্টিসিপেটরি একটা নির্বাচন এবং সবাই এ ব্যাপারে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ যে তারা একটা ভালো নির্বাচন দিতে চান যেটার প্রতি জাতি অঙ্গীকারবদ্ধ।”

নির্বাচন ঘিরে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলো আইনশৃঙ্খলা সভায় উঠে এলেও তা সবিস্তারে বলেননি ইসি সচিব। তিনি দাবি করেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘ভোটের উপযোগী রয়েছে’।

সচিব বলেন, আমাদের কনসার্নগুলো আমরা যেগুলো নিয়ে আলোচনা মূলত করতে চেয়েছিলাম, যে বিষয়গুলো আমি বললাম শুরুতেই। সেগুলোর ব্যাপারে আমরা দেখলাম যে সবাই মোটামুটিভাবে ওয়াকিবহাল এবং তফসিল থেকে ভোটের পরের আলোচনাটা বেশি প্রাধান্য পেয়েছে।

সভায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচন নিয়ে কোনো ঝুঁকি দেখছে কি না বা বিদ্যমান পরিস্থিতি ভোটের জন্য ইসির কতটা উপযোগী প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “নির্বাচনের সময়সীমাটা তফসিল ঘোষণা থেকে গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত ইসির এখতিয়ারাধীন। আমাদের আলোচনার পরিমিতিটা এটুকু ছিল। বাকিটুকু নিয়ে আমাদের আলোচনার এই মুহুর্তে সুযোগ নাই এবং আমরা করিও নি।”

দেশে বিভিন্ন অগ্নিকা-ের পর বর্তমান পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সম্ভব কী না তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর শঙ্কা নিয়ে ইসির বক্তব্য জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, “আজকের আলোচনায় এই সম্পর্কিত কোনো আলোচনা হয়নি। আজকের আলোচনাটা ছিল মূলত নির্বাচনকে সুষ্ঠু আরো সুন্দর করার জন্য, প্রস্তুতিমূলক বিষয়। যে কথাটা বলেছেন এটার সঙ্গে আজকের আলোচনার কোনো সূত্র ছিল না।”

ভোটে ৮ দিন নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েল থাকবে

নির্বাচন ঘিরে আট দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব এসেছে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি বৈঠকে। এদিনের আলোচনায় নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী, আনসার, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িরা মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ভোটকেন্দ্র থেকে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয়, ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ, ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষণে বডিঅর্ন ক্যামেরাসহ অন্তত ১৪টি বিষয় আলোচনায় উঠেছে।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা মোটামুটিভাবে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা মূলত পাঁচ দিনের ডেপ্লয়মেন্ট করেছি। সেখানে একটা প্রস্তাব এসেছে-এটা যেন আট দিন করা হয়। নির্বাচনের আগে তিনদিন, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচন পরবর্তীতে চারদিন। আমাদের ইনিশিয়াল প্রোগ্রামিং ছিল পাঁচ দিন। এখন প্রস্তাবনাটা আসছে আট দিন। এটা আমরা পরীক্ষা করে দেখব।

এআই নিয়ে পর্যালোচনা

এআই নিয়ে কমিশন আরও পর্যালোচনা করছে জানিয়ে আখতার আহমেদ বলেন, “এআইয়ের অপব্যবহারের ক্ষেত্রে এনটিএমসি পূজার সময় ৩৫ হাজারেরও বেশি তথ্য প্রযুক্তির ব্যবস্থা নিয়েছিল, একটা সাকসেসফুল ইভেন্ট। সেটা আমরা ব্যবহার করতে পারি কি না। এ বিষয়ে আমি এই মুহূর্তে যেটা বলতে চাচ্ছি-মঙ্গলবার আমাদের এ ব্যাপারে একটা সেমিনার আছে, ওয়ার্কশপ আছে সেটাতে আমরা আরো কিছু তথ্য সন্নিবেশ করে এই জিনিসটা দেখব।

পার্বত্য অঞ্চলে হেলিকপ্টার ব্যবস্থা

পার্বত্য অঞ্চলে ভোটের সামগ্রী আনা-নেওয়া হেলিকপ্টার ব্যাবহারের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে এবং এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার কথা হয়েছে।

সচিব আখতার আহমেদ বলেন, আর্মি এভিয়েশন এয়ারফোর্স এভিয়েশন হেলিকপ্টার করে নির্বাচন সামগ্রী পরিবহনের দায়িত্ব নিয়ে কথা হয়েছে। যে সমস্ত জায়গায় এটি হবে সেখানে যেন হ্যালিপ্যাডগুলো আমরা যেন একটু ব্যবস্থা করে রাখি। যাতে সহজে অবতরণ উত্তরণ এবং অবতরণ করা যায়। ভোট কেন্দ্রে অবস্থান পার্বত্য পার্বত্য জেলায় এসব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সশস্ত্রবাহিনী মাঠে, তারা যেভাবে কাজ করবে ভোটে

বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় এখন সশস্ত্র বাহিনী মাঠে রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের কাজে সমন্বয়ের বিষয়টি বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

ইসি সচিব বলেন, “সেনাবাহিনী মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে, ডেপ্লয়মেন্ট আছে ইন টু সিভিল পাওয়ার। তাদের অবস্থানটা কি হবে সেটা আমরা বলেছি- নীতিগতভাবে তারা যে অবস্থানে; যে যার অবস্থানে আছেন আমরা জোর দিয়েছি ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিংয়ের বিষয়টিতে।”

তিনি বলেন, প্রত্যেকটা অর্গানাইজেশনে তাদের কিছু নিজস্ব ইন্টেলিজেন্স রয়েছে, তারা তথ্য কালেক্ট করে শেয়ারিংটা হবে। করলে জিনিসটা আরো সুসংগত হবে। সীমান্ত এলাকা, উপকূলীয় এলাকা বিবেচনায় কাজের ধরনের বিষয়টি তুলে ধরে আখতার আহমেদ বলেন, এটা সমন্বয় করলে বেটার হবে। এবং এই কোঅর্ডিনেশনের ডিফারেন্ট লেভেলে ডিটারমাইন থাকে ক্লিয়ারলি এবং সেটার সাথে কমান্ড স্ট্রাকচার রয়েছে। এরকম জায়গাগুলো নিয়ে আরেকটু ফার্নিশ করতে হবে।

বৈঠকে যানবাহনের বিষয়টিও আলোচনায় তুলেছেন জানিয়ে আখতার আহমেদ বলেন, যানবাহন একটা সীমাবদ্ধতা, যানবাহনের স্বল্পতা রয়েছে। অন্যথায় রিকুজিশনের একটা পদ্ধতি আছে সে পদ্ধতিগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে।

সেনাবাহিনী ইন টু সিভিল পাওয়ারের মাঠে রয়েছে বলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীকে যুক্ত করার প্রস্তাব ইসির রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এক্ষত্রে সশস্ত্র বাহিনী আগামী নির্বাচনে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে থাকবে নাকি তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসেবে থাকবে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, “এটার ব্যাপারে আরপিওটা সংশোধন হয়ে আসুক। দুটো মতামতই আছে। বাট তাদের কন্টিনিউয়েশনের পক্ষেই আলোচনা হচ্ছে- ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার-এ যেটা আছে আছেন। কিন্তু তার সাথে আরপিওর সাথে সাংঘর্ষিকভাবে যেন না হয় সে জিনিসটা আমরা লক্ষ্য করবো।

বাজেট চূড়ান্ত হবে পরে

আগামী ভোটে সব মিলিয়ে কত সংখ্যক নিরাপত্তা সদস্য থাকবে এবং তাদের বাজেট বরাদ্দ চূড়ান্ত হবে আরও পরে।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, আজকে সূচনা এটা। এখন কনক্লুসিভ কোন কিছু না। এটা তো ধারাবাহিকভাবে চলবে। আরেকটা বড় জিনিস আছে যেটা বাজেট। প্রত্যেকটা অর্গানাইজেশন প্রত্যেকটা ইউনিটে একটা বাজেট লাগবে, তাদের খরচ আছে প্রশিক্ষণের সাথে প্রত্যেকটা খরচ আছে সেগুলো আমাদেরকে দিবেন। এটা ইলেকশন বাজেটের সাথে সম্পর্কিত, সেটা বাজেটটা করব। নির্বাচন পরিচালনার কয়েকগুণ বেশি ব্যয় হয় নিরাপত্তায়। এবার প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব রয়েছে। সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মোট ব্যয় প্রায় দুইহাজার কোটি টাকা।

ইসি সচিব বলেন, কেউ এখনো পর্যন্ত বাজেটের কথা বলেননি, কত টাকা। কিন্তু সবাই বলেছেন, বাজেট একটা ফ্যাক্টর।

বাজেট কবে চূড়ান্ত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো পর্যাক্রমিক আলোচনা তখন আলোচনা করার পরে ফাইন টিউনিং করে যেটুকু বাজেট আসবে তখন করা যাবে। বাজেট তো সবসময় থাকে। কিন্তু সেটা তো গ্রহণযোগ্য একটা বাজেটের ব্যবস্থাটা অর্থবিভাগে পাঠিয়ে ব্যবস্থা করতে সময় লাগবে।

লুট হওয়া ৮৫% অস্ত্র উদ্ধার

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে তৎপরতা নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয় বৈঠকে।

ইসি সচিব বলেন, লুট হওয়া অস্ত্রগুলোর বিষয়ে উনারা বলেছেন যে এখন পর্যন্ত ৮৫% পর্যন্ত তারা রিকভারি করেছেন। আরো কিছু অস্ত্র এবং কিছু গোলাবারুদ এখনো পর্যন্ত আছে। কিন্তু প্রক্রিয়া চালু আছে। আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রস্তুতিমূলক বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো ধরনের নির্দেশনা ইসির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি বলে সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন।

তিনঘণ্টার আইন শৃঙ্খলা সভা

সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ মতবিনিময় সভা শুরু হয়। ভোট প্রস্তুতির মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসির প্রথম বৈঠক এটি। সংলাপে চার নির্বাচন কমিশার, ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিসহ আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান ও প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, সেনাবাহিনী প্রধানের প্রতিনিধি লেফট্যানেন্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, বিমানবাহিনীর প্রধানের প্রতিনিধি এয়ার ভাইস মার্শাল রুশাদ দিন আসাদ, নৌবাহিনী প্রধানের প্রতিনিধি রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান।

এছাড়া এনএসআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবু মোহাম্মদ সরোয়ার ফরিদ, ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, আনসার ভিডিপি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়াল অ্যাডমিরাল মো. জিয়াউল হক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা, ঢাকার র‌্যাব হেডকোয়ার্টারের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবির অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (প্রশাসন ও অর্থ) জি এম আজিজুর রহমান এবং সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. ছিবগাত উল্ল্যাহ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গ গণভোট

জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে জুলাই সনদ নিয়ে গণভোটের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনে না এলেও আইন শৃঙ্খলা সভায় প্রসঙ্গটির অবতারণা হয়েছে।

বৈঠকে বলা হয়, গণভোট করার বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও সরকারের সিদ্ধান্ত। গণভোট নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত এলে তা বাস্তবায়নে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর প্রস্তুতির বিষয় রয়েছে।

জানতে চাইলে বৈঠকে উপস্থিত একজন প্রতিনিধি বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে। সবাই সব ধরনের সহায়তার কথা বলেছে। গণভোটের বিষয়টিও অবতারণা হয়েছে এভাবে- রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হলে, সরকারের সিদ্ধান্ত এলে সেভাবে নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুত থাকতে হবে।”

গত মঙ্গলবার নির্বাচন সচিব আখতার আহমেদ বলেছিলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে গণভোটের আলোচনা ঐকমত্য কমিশনে হলেও তা নিয়ে ইসির কাছে সরকারের তরফে কোনো তথ্য নেই। এ ব্যাপারে আমার বাড়তি কোনো মন্তব্য করার সুযোগ নাই। ...যতক্ষণ না ইসিকে বলা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কোন কিছু (করার) নেই।