কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার রাখাইনে কথিত মানবিক করিডোর প্রদানের বিরোধিতা করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে আরেকটি প্রক্সিওয়ারে জড়াতে চায়। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের পক্ষের একজন মানুষ হিসেবে বলবো এই ধরনের করিডোর দেওয়া উচিত নয়।
শুক্রবার (২ মে) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আবারও নির্বাচিত সরকার হিসেবে দাবি করে ফরহাদ মজহার বলেন এই সরকারকে উৎখাত করার জন্য নির্বাচনের দাবি করা হচ্ছে। নির্বাচনের জন্য ক্রমাগতভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। ফলে এই সরকারের পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব নয়।
তিনি সংস্কার কমিশন গঠনের সমালোচনা করে বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারকে জনগণের অভিপ্রায় বুঝতে হবে। তিনি সরকারকে জনগণের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, জনগণের অভিপ্রায় বুঝতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে। আমরা আশা করেছিলাম যে, গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা যে সরকার কায়েম করেছি আমরা আশা করেছিলাম যে, এই সরকার জনগণের কাছে যাবে। কিন্তু তারা এটা করলেন না। তারা উপর থেকে অনেকগুলো কমিশন বসিয়ে দিলেন। কমিশনগুলো ঢাকা শহরে বসে বসে আলোচনা করলেন। তারা জনগণকে ডাকেনি তাদের কথা শোনেনি। যদি জনগণকেই আমরা অস্বীকার করি তাহলে কি করে আমরা সত্যিকার অর্থে নতুন যে বাংলাদেশ বানাতে চাই সেটা কি করে সম্ভব?’
ফরহাদ মজদার সংসদ নির্বাচনের আগে গণপরিষদ নির্বাচনের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে বলেন, যারা আইন বোঝে রাজনীতি বোঝে কিন্তু দল বোঝে না তাদেরকে আমরা গণপরিষদ নির্বাচনে পাঠাবো। তারা বসে খসড়া গঠনতন্ত্রের বিষয়ে তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ একটি খসড়া গঠনতন্ত্র পাশ করবে। তারপর গণভোট হবে। জনগণ তাতে সম্মতি দিলে তা নতুন গঠনতন্ত্র হিসেবে চুড়ান্ত হবে। সেই নতুন গঠনতন্ত্রের অধীনে নতুন সরকার গঠনের নির্বাচন হবে।
মতবিনিময় কালে বগুড়া প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব সবুর শাহ লোটাস, বগুড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রেজাউল হাসান রানু, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি গনেশ দাস, বাংলা ভিশন এর স্টাফ রিপোর্টার আব্দুর রহিম বগরাসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।