আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিশ্বসভ্যতা বইয়ে বিষয়টি যুক্ত হবে। আর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি বইয়েও থাকবে এই ইতিহাস।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, মাধ্যমিক স্তরের বইগুলোতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে এই নতুন অধ্যায় সংযোজন করা হবে।
অন্যদিকে, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে উচ্চমাধ্যমিকের ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই সংশ্লিষ্ট বই প্রকাশের কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।
এনসিটিবির কর্মকর্তাদের ভাষ্য, চলতি শিক্ষাবর্ষে যে অংশ যুক্ত করা হয়েছিল, সেটি অপরিবর্তিত থাকছে। তবে কিছু তথ্যগত ভুল ও ভাষাগত জটিলতা চিহ্নিত হওয়ায় সংশোধনের কাজ চলছে। পুনরাবৃত্তি বাদ দিয়ে বাক্যগুলো আরও সহজ ও সাবলীল করা হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা সহজে বিষয়টি বুঝতে পারে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) বৈঠকে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত হয়, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির নির্দিষ্ট অধ্যায়ে গণঅভ্যুত্থান অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এতে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ গণআন্দোলনের চিত্র তুলে ধরা হবে, বিশেষভাবে ১৯৯০ সালের আন্দোলন ও ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের বয়স ও মানসিক পরিপক্বতা অনুযায়ী বিষয়বস্তু আলাদা করে সাজানো হচ্ছে।
এনসিটিবির শিক্ষা ও সম্পাদনা শাখার প্রধান জানান, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রতিটি বইতে অধ্যায়ের নাম ভিন্ন রাখা হবে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে কোন অধ্যায়ে বিষয়টি যুক্ত হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে উচ্চপর্যায়ের কমিটি এ নিয়ে কাজ করছে।
সূত্র মতে...
- ষষ্ঠ শ্রেণির বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে ‘স্বাধীন বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান’ শিরোনামে বিষয়টি থাকবে
- সপ্তম শ্রেণির বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে ‘বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রাম ও গণআন্দোলন’ শিরোনামে যুক্ত হবে।
- অষ্টম শ্রেণির বইয়ে ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় গণঅভ্যুত্থান’ নামে বিষয়টি যুক্ত হচ্ছে।
- নবম-দশম শ্রেণির বইয়ে দ্বিতীয় অধ্যায়ে ‘স্বাধীন বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান’ নামে যুক্ত থাকবে।
অন্যদিকে, এনসিটিবি জানিয়েছে, আগামী বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে মোট ৩০ কোটির বেশি বই ছাপানো হবে। এর মধ্যে প্রায় ৮ কোটি ৫০ লাখ প্রাথমিক স্তরের এবং ২১ কোটির বেশি মাধ্যমিক স্তরের বই। বেশিরভাগ বইয়ের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে এবং নভেম্বরের মধ্যে ছাপার কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।