বছরে মাত্র ১৮০ দিন প্রাথমিকে ক্লাস হয়। শিক্ষা বহির্ভূত অনেক কাজে শিক্ষকদের ব্যস্ত রাখা হয়। এর ফলে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। শিক্ষা ক্যালেন্ডারে ছুটি কমানো হবে বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
রবিবার ( ৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে দেড়শো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে মিড-ডে মিল চালু করা হবে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গণশিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশের ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ। ২২ দশমিক ১ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনো নিরক্ষর। যারা কখনো বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি বা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পরেছে।’
শিক্ষকদের পদোন্নতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মামলার জন্য অনেক শিক্ষকে পদন্নোতি দেয়া যাচ্ছে না। ৩২ হাজার শিক্ষক প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নোতি পাওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। তাহলে অনেক নতুন পদ সৃষ্টি হবে।
প্রাথমিকে বৃত্তি দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকে যারা পড়ে তাদের অনেকেরই অর্থনৈতিকভাবে তুলনামূলক খারাপ অবস্থান রয়েছে। এই যে ঝরে পড়ার হার বাড়ছে, মূল কারণটা অর্থনৈতিক। ফলে আমরা যদি বৃত্তির মাধ্যমে তাদের আর্থিক প্রণোদনা দিতে পারি, তাহলে হয়তো হাইস্কুলে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সহজ হবে। এ কারণে আমরা বৃত্তি চালু করতে যাচ্ছি।’