আজ ২৮ জুলাই (সোমবার) ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপনকে কেন্দ্র করে করণীয় নির্ধারণ শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ গোলটেবিল বৈঠক আজ সকাল ১০টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজেদুর রহমান।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর সঞ্চালনায় আয়োজিত এ বৈঠকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং নাগরিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এবং মতামত প্রদান করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব সালাহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, “জাতীয় স্বার্থ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধকে সম্মান জানিয়েই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কার্যক্রম পরিচালিত হওয়া উচিত। ঢাকায় জাতিসংঘের এ ধরনের কার্যালয় স্থাপন নিয়ে আমাদের আরও গভীরভাবে ভাবা প্রয়োজন।”
আমার বাংলাদেশ পার্টির চেয়ারম্যান জনাব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “দেশের সার্বভৌমত্ব ও সাংবিধানিক সীমারেখা বিবেচনায় নিয়েই জাতিসংঘের যেকোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। না হলে তা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।”
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি জনাব নুরুল হক নুর বলেন, “মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, স্থানীয় বাস্তবতা ও জনগণের মতামত উপেক্ষা করে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ গ্রহণযোগ্য নয়।”
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফি, মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মুফতী হারুন ইজহার, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, মাওলানা মুসা বিন ইজহার, মাওলানা মীর ইদরিস নদভী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা রেজাউল করিম আবরার, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী প্রমুখ।
বক্তারা জাতিসংঘের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিদেশি প্রভাব বিস্তার বন্ধে সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান নেওয়া উচিত।
বৈঠকে একটি যৌথ প্রস্তাবনায় বলা হয়, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস স্থাপন সংক্রান্ত চুক্তির সকল তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে এবং তা নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।